কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ বলার ধৃষ্টতা, সংগ্রাম অফিস ভাঙচুর
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:৩৬
ঢাকা: যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দৈনিক সংগ্রাম অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। এসময় পত্রিকা কার্যালয়ের ভেতরে ভাঙচুরও করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে সংগঠনটি মগবাজারের এই অফিসে অবস্থান নেয়। এসময় পত্রিকাটির কয়েকটি কপি আগুনে পোড়ানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সারাবাংলাকে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে শহীদ বলার মাধ্যমে তারা দেশের শহীদদের অবমাননা করেছে। দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে। আমরা চাই সরকারিভাবে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া হোক।’
এর আগে, বিকাল পাঁচটা থেকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা পত্রিকাটির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা ‘রাজাকার ও সংগ্রাম’ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে সাড়ে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীরা পত্রিকার কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষুব্ধরা এসময় নিউজরুমসহ বিভিন্ন রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
পরে পত্রিকাটির সম্পাদক আবুল আসাদ কার্যালরে বাইরে এসে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কাদের মোল্লাকে শহীদ উল্লেখ করার বিষয়টি আইনসঙ্গত হয়নি বলেও স্বীকার করেন। পরে তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
দৈনিক সংগ্রামের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হলেও তাদের কেউ হতাহত হয়নি। কম্পিউটারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপতি ভেঙে দেওয়ায় আগামীকাল পত্রিকাটি প্রকাশ হবে কিনা এখনও সেই সিদ্ধান্ত আসেনি। আর পত্রিকাটির সম্পাদককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত করে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে তারা পত্রিকাটির সামনে আবারও অবস্থান নেবেন। পত্রিকাটির কার্যালয় জামায়াত-শিবিরের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। সেখানে জামায়াত শিবিরের কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেন মঞ্চের নেতারা।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মঞ্চের নেতারা কার্যালয়টির সামনে থেকে সরে যান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হাফিজ আল ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘সংগ্রাম সম্পাদককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। অফিস ঘেরাওয়ের খবর পেয়ে আমাদের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তারা এখনও ঘটনাস্থলে আছেন। পুলিশ সার্বিক বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’