Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেন্টমার্টিন সৈকত থেকে ১ হাজার কেজি আবর্জনা সংগ্রহ


১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:৪৫

সেন্টমার্টিন থেকে: প্লাস্টিক দূষণ থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রক্ষায় ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ১ হাজার কেজি আবর্জনা সংগ্রহ এবং ধ্বংস করেছে যৌথভাবে কেওক্রাডং বাংলাদেশ ও কোকোকোলা বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সেন্টমার্টিন মেইন বিচ থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা সৈকত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করে।

স্বেচ্ছাসেবীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সমুদ্র তীর থেকে অপচনশীল ও প্লাস্টিকজাতীয় আবর্জনা সংগ্রহে করে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করে। পরে সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। সিগারেটের ফিল্টার, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের পানির বোতলসহ নানা ধরনের বর্জ্য ছিল তাদের সংগৃহীত আবর্জনায়। এ ছাড়া এসব আবর্জনার তথ্য সংগ্রহ করে ওশান কনজারভেন্সির ট্রাশ ডাটাবেজে আপলোড করা হয়।

৩৩তম ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ প্রোগামের অংশ হিসেবে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলে। যেখানে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সারাদেশ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।

‘পিক ইট আপ, ক্লিন ইট আপ, সী চেঞ্জ’- এ স্লোগানে টানা নয় বছর ধরে সমুদ্র উপকূল পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে বাংলাদেশে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে কেওক্রাডং বাংলাদেশ ও কোকোকোলা বাংলাদেশ।

সমুদ্রের পানি দূষণমুক্ত রাখতে যথোপযুক্ত পদ্ধতি অবলম্বন এবং যেখানে সেখানে আবর্জনা না ফেলাসহ পরিবেশের বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার মাধ্যমে দূষণরোধে কাজ করাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।

সৈকত পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেন কোকোকোলা বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার অজয় বাতিজা। তিনি বলেন, ‘কোকোকোলা বাংলাদেশ গত ৯ বছর ধরে সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করতে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭০০ স্বেচ্ছাসেবী সৈকত পরিচ্ছন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য আমরা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। যাতে ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশকে আরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত করে গড়ে তুলতে পারে। মূলত এই চিন্তা থেকে আমরা সারাদেশের মানুষকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই, কোনো প্লাস্টিকের বোতল পড়ে থাকতে দেখলে মানুষ যেন সেটা কুড়িয়ে নেয়, এবং ডাস্টবিনে ফেলে। যাতে সেটা সমুদ্রে গিয়ে না পড়ে।’

সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য অতুলনীয় উল্লেখ করে অজয় বাতিজা আরও বলেন, ‘আর এ জন্যই পর্যটকরা এখানে বেশি আসে। যার ফলে এখানকার সংবেদনশীল ইকো-সিস্টেমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে আমরা ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আশা করি, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ধীরে ধীরে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুত দূষণমুক্ত পানি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সবুজ পরিবেশের অঙ্গীকার পূরণে সক্ষম হবো।’

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমুদ্র এবং তার প্রাণীদের রক্ষার উদ্দেশ্যে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ওশান কনজারভেন্সি। বাংলাদেশে ওশান কনজারভেন্সির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে কেওক্রাডং বাংলাদেশ।

অন্যতম জনপ্রিয় কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কোকোকোলা। দেশের বাজার কোকোকোলা, স্প্রাইট ও ফান্টা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কোমলপানীয় তৈরি ও বাজারজাতের পাশাপাশি সামাজিক পরিবর্তন, উন্নয়ন ও সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সেন্টমার্টিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর