রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি
১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:১৩
ঢাকা: রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোটার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজধানীর বিজয়নগরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে- দেশে শুল্ক কাঠামো এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নতুন গাড়ির চেয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ির আমদানি শুল্ক কমানো জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাখেন বারভিডার সভাপতি আবদুল হক। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বারভিডার সভাপতি বলেন, ‘রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে ক্রমাগত শুল্ক আরোপের কারণে গাড়ির দাম বেড়ে যাচ্ছে। এতে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির চাহিদা ও ক্রেতা কমে যাচ্ছে। ফলে গাড়ি আমদানির পরিমাণও কমে গেছে। ফলে সরকার একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে এ খাতে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তাই এ শিল্পকে বাঁচাতে হলে জরুরিভাবে আমদানি শুল্ক কমাতে হবে। কেননা ব্র্যান্ডনিউ গাড়ি আর রিকন্ডিশন্ড গাড়ির আমদানির শুল্ক কখনও এক হতে পারে না।’
আবদুল হক বলেন, ‘ব্র্যান্ডনিউ গাড়ি আর রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ক্ষেত্রে কর আরোাপে বৈষম্য রয়েছে। একটি জটিল প্রক্রিয়ায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্কায়ন করা হচ্ছে। আমরা চাই নতুন ও পুরনো গাড়ির নির্বিশেষে সকলের জন্য একটি সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক। সবার জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হোক।’
বারভিডার সভাপতি বলেন, ‘জাপান থেকে আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ইয়োলো বুকে থাকা নিউ প্রাইস এর ওপর ভিত্তি করে অপচয় বিয়োজনের পর শুল্কের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। অথচ ইয়োলো বুকে পুরনো গাড়ির মাসিকভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নিয়ে নতুন গাড়ি বিবেচনায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ির মূল্য নির্ধারণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে বর্তমানে এ শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবচরে ২৩ হাজার ৭৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা কমে ১২ হাজার ৫০২টিতে নেমে এসেছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৪৩৮টি। এতে করে সরকার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। পাশাপাশি ভোক্তারা ভালোমানের পরিবেশবান্ধব গাড়ি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’