তামাক আইন মানছে না চট্টগ্রামের ৯৯ শতাংশ সরকারি অফিস
১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর ৯৯ শতাংশ সরকারি অফিসে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’ মানা হচ্ছে না এবং ৫৪ শতাংশ সরকারি অফিসে ধূমপান হচ্ছে বলে উঠে এসেছে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) পরিচালিত এক জরিপে। এছাড়া শতভাগ গণপরিবহন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এই আইনের লঙ্ঘনের তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) নগরীর প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে ‘চট্টগ্রাম নগরীতে পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালনের অবস্থা’ শীর্ষক জরিপের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইপসা। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন ইপসার উপ-পরিচালক নাছিম বানু।
জরিপে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরীর ৯৭ শতাংশ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র, ৯৯ শতাংশ রেস্টুরেন্টে আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে। ধূমপান হচ্ছে ৫৪ শতাংশ সরকারি অফিস, ৪১ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৩৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৫০ শতাংশ রেস্টুরেন্ট এবং ৮৫ শতাংশ গণপরিবহনে।
আইন অনুযায়ী সতর্কতামূলক নোটিশ নেই ৯৮ শতাংশ সরকারি অফিস, শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৯৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৯৮ শতাংশ রেস্টুরেন্ট এবং শতভাগ গণপরিবহনে।
তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন আছে ৪ শতাংশ সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ২৮ শতাংশ রেস্টুরেন্ট ও ৯ শতাংশ গণপরিবহন।
চলতি বছরের জুন থেকে পরিচালিত জরিপে চট্টগ্রাম নগরীর ২৮২টি সরকারি অফিস, ৪২৩টি রেস্টুরেন্ট, ১২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১৮৭টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসহ মোট ১৪৩৫টি উন্মুক্ত স্থান এবং গণপরিবহন থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধিত ২০১৩) এর ৪ ধারা অনুসারে উন্মুক্ত স্থান ও উন্মুক্ত পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ।
ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত না হলে এই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। দেশে তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ তাই এখন সময়ের দাবি।’
ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরোর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের আবদুস সালাম মিয়া, অ্যান্টি ট্যোবেকো মিডিয়া এলায়েন্সের আহ্বায়ক আলমগীর সবুজ ও সদস্য লতিফা আনসারি রুনা।