Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাজার সম্প্রসারণে জার্মান বিনিয়োগ পেলো ওয়ালটন


১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:০২

ঢাকা: দ্রুত অগ্রসরমান ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনের পাশে দাঁড়িয়েছে জার্মান বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সংস্থা (ডিইজি)। নতুন করে ওয়ালটনে ২০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করছে ডিইজি। এ অর্থ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মানউন্নয়নে ব্যয় করা হবে।

জানা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর কাতারে নিজেদের জায়গা করে নিতে ওয়ালটন জোর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে। লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের সেরা মানের পণ্য তৈরি থেকে শুরু করে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে ওয়ালটন। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রকৌশলী এবং বিপণন বিশেষজ্ঞদের। ওয়ালটনের ব্র্যান্ড ইমেজ এবং দ্রুত অগ্রসর হওয়ার কারণে তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে ডিইজি। তৃতীয়বারের মতো তারা বিনিয়োগ করছে ওয়ালটনে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালটনের বিভিন্ন প্রকল্পে দুই দফায় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২৩ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছিলো।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টদের মতে, জার্মান এই বিনিয়োগ বাংলাদেশের বেসরকারি শিল্পখাতকে সমৃদ্ধ করবে। এর ফলে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্প এবং এসব পণ্যের বিশ্বব্যাপী বাজারজাতকরণ কার্যক্রম গতিশীল হবে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সম্প্রতি জার্মানির ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের হেড অব ডিভিশন (কেএফডব্লিউ অ্যান্ড ডিইজি) লারস নিডার বাংলাদেশ সফর করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন জার্মানির রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন উন্নয়ন ব্যাংক কেএফডব্লিউ-ডিইজি’র ঢাকা কার্যালয়ের ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার ফাইয়াজ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

জার্মান প্রতিনিধিদলটি ওয়ালটন কারখানায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। সে সময় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা।
লারস নিডার বলেন, ‘ওয়ালটন কারখানা দেখে আমি মুগ্ধ। গত এক দশকে ওয়ালটন যা করেছে তা অবিশ্বাস্য। রকেটের গতিতে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটা সত্যিই বিস্ময়কর।’

ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশে ওয়ালটন পণ্য রফতানি হচ্ছে। বর্হিবিশ্বে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিজনেস ভলিউম বাড়াতে জোরোসোরে কাজ চলছে। ওয়ালটন পণ্যের ডিজাইন, উৎপাদন এবং বিশ্বব্যাপী বিপণন নিয়ে কাজ করছেন ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। উৎপাদন প্রক্রিয়া, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি), মান নিয়ন্ত্রণ বা কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ বিভিন্ন বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার ব্র্যান্ড হুন্দাই এবং ভারতের রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন। এর ফলে প্রতিষ্ঠান দু’টিতে বিপুল পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করবে ওয়ালটন। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকায় যাচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্য।

ওয়ালটন জার্মান বিনিয়োগ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর