ভারতের অস্থিতিশীল অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:২৪
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (সিএবি) ঘিরে বিক্ষোভ-মিছিল ও প্রতিবাদ বাড়ছেই। গুলিবিদ্ধ আহত একজনের মৃত্যু হওয়ায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আসামে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ এ। পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা ও কিছু অঞ্চলে ইন্টারনেটসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে আসামের কিছু অঞ্চলেও। খবর নিউজ ১৮ এর।
রোববারও (১৫ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্দোলন হতে দেখা গেছে। মালদহ, বীরভূমে রেলপথ এবং সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে পাঁচ ট্রেনে আগুন ও হাওড়ায় অন্তত ১৫টি বাসে আগুনের ঘটনায় আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি নেতারা নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় উল্টো মমতাকেই দুষছেন।
আসামে পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল বাকসার জোয়তি মাহন্তা শনিবার জানান, সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাথার ছুড়ে মারা, আগুন লাগানোর ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়েছে। এসব দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করা হবে।
গোহাটিতে ৯টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ইন্টারনেট বন্ধের সময় ২৪ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ৪৮ ঘণ্টা করা হয়েছে কিছু অঞ্চলে। এদিকে নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্দোলনের মুখে স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের অনুরোধ করেছে, তারা যেন সহিংস অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণ না করে। অথবা প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর ৩১১-৮০ ভোটে লোকসভার অনুমোদন পায় বিতর্কিত ‘দ্য সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৯’। এরপর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভাতেও পাস হয় এই বিল। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর এটি আইনে পরিণত হয়েছে। ফলে মুসলিম ব্যতীত অন্যধর্মের লোকেরা যারা ২০১৫ সালের আগে ভারতে এসেছেন তারা নাগরিকত্ব পেতে পারবেন।
মুসলিমবিদ্বেষী উল্লেখ করে এই বিলের প্রতিবাদে ভারতের আসাম-ত্রিপুরা-মেঘালয়-কেরালা-পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে। কেরালা ও পাঞ্চাবের রাজ্য সরকার জানিয়েছে তারা এই আইনের বিরোধিতা করছে। আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছেন তৃণমূলের এমপি মহুয়া মৈত্র।