অপরাধের ধরন অনুযায়ী তালিকাভুক্ত রাজাকারদের বিচার হবে: আইনমন্ত্রী
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:১৫
ঢাকা: রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ হওয়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তালিকায় থাকা রাজাকারদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তালিকা যাচাই-বাছাই করে দেখবে, সেখানে অপরাধের ধরন অনুযায়ী রাজাকারদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। যারা বাংলাদেশের ভবিষ্যত নেতৃত্ব দেবে, সমাজ, সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রাখবে তাদের সঠিক ইতিহাস জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ও এর বিরোধিতাকারীদের সম্পর্কে সবাই জানতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকারদের বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের যে তদন্তকারী সংস্থাটি রয়েছে, তারা দেখবে যে কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় বিচার করা উচিত। তারা যদি তালিকায় থাকা রাজাকারদের বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধের প্রমাণ পায় নিশ্চয় তাদের বিচার হবে।’
রাজাকারের তালিকা এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে শক্তিশালী এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কিভাবে স্বাধীন হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা পর্যন্ত এনেছেন যিনি সে জাতীয় পিতার কথাও কিন্তু আমরা এক সময় বলতে দ্বিধাবোধ করেছি। আমার মনে সেটা অবসান হওয়া উচিত।’
এর আগে, নিজ দফতরে নেপালের আইন বিচার ও সংসদীয় বিষয়ক উপ প্রধানমন্ত্রী উপেন্দ্র যাদব, যুগ্ম সচিব গৌতম ফণিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় আইন অঙ্গনে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয় আলোচনা করেন তারা।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বৃটিশ আইনই অনুসরণ করি। আমাদের ও নেপালের আদালতগুলো অনেকাংশেই একই ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে যে জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্টিরিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে সেখানে আরও সহযোগিতা আরো বাড়াতে পারি কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে সড়ক পরিবহনের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন তারা। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেপাল সরকার ও জনগণ যে অকুণ্ঠ সমর্থন আমাদের দিয়েছেন সেটার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
নেপালের উপ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও নেপালের জনগণ এবং সরকারের মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর ও সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এই সম্পর্ক দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে। আজ বিচার ও আইন বিষয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।’ এছাড়া বাংলাদেশ থেকে নেপালে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলে উভয় দেশের জনগণ লাভবান হবে বলেও জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ রাজাকারদের তালিকা