‘গণহত্যার নীলনকশা হচ্ছে ভারতে’
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:১৫
ভারতের কাশ্মির ও আসামে গণহত্যা চালানোর নীলনকশা বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন জেনোসাইড ওয়াচ এর প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর গ্রেগরি স্টেনটন। গত ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বক্তৃতাকালে ডক্টর গ্রেগরি এই আশঙ্কা জানান। অনুষ্ঠানে মার্কিন আইনপ্রণেতা ও বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কাশ্মিরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন রোধ ও আসামের নাগরিক তালিকা বা এনআরাসি বিষয়ে বলতে গিয়ে ডক্টর গ্রেগরি স্টেনটন জানান, নিশ্চিতভাবে ভারতে গণহত্যা বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। গণহত্যার ঠিক পূর্বের লক্ষণগুলো প্রকাশিত হচ্ছে।
ডক্টর গ্রেগরি স্টেনটন কম্বোডিয়া, রুয়ান্ডা ও রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করেছেন। এছাড়া, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইডের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবতাবিরোধী কাজ গবেষণায় তুলে ধরার জন্য তিনি প্রসিদ্ধ।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কর্মী তেসটা সেতালভেদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিমিয় করেন। তিনি বলেন, এনআরসির মাধ্যমে আসামে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। নগারিকত্ব যাচাইয়ের মানদণ্ড মানা হয়নি।
ডক্টর গ্রেগরি স্টেনটন ১৯৯৬ সালে তার প্রেজেন্টেশনে গণহত্যার যে ১০টি ধাপ তুলে ধরেছিলেন সেগুলো হলো,
প্রথম ধাপ হলো ‘তারা বনাম আমরা’উল্লেখ করে ‘বিভেদ তৈরি’।
দ্বিতীয় ধাপে ‘তকমা’ দেওয়া ও ‘বিদেশি’ উল্লেখ করা।
তৃতীয় ধাপে ‘বৈষম্য’ তৈরি করা, ‘ভুক্তভোগীদের নাগরিত্বের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা’।
চতুর্থ ধাপে ‘মানবিকতা হরণ করা’ ও আলাদা করে ফেলা, ‘সন্ত্রাসী’ বলা।
পঞ্চম ধাপে ‘সংগঠন’ তৈরি করা নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য। (যেমন কাশ্মিরে ভারতীয় সেনারা আধিপত্য তৈরি করেছে। আসামে এআরসি হচ্ছে। )
ষষ্ঠ ধাপে ‘প্রোপাগান্ডা’ ও ‘মেরুকরণ’ করা হয়।
সপ্তম ধাপে গণহত্যা বাস্তবায়নের ‘প্রস্তুতি’চলে।
অস্টম ধাপে হয় ‘নিপীড়ন, (আসাম ও কাশ্মিরে বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে।)
নবম ধাপে চলে ‘নির্বিচারে’ হত্যা।
দশম ধাপে এসব ‘অস্বীকার’ করা হয়।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল (আইএএসনি), ইমগেজ একশন, হিন্দুস ফর হিউম্যান রাইটস (এইচএফএইচআর)।