রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম, মন্ত্রীর দুঃখপ্রকাশ
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:২৬
ঢাকা: রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ভুলের পরিমাণ বেশি হলে পুরো তালিকা প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শিল্পকলা একাডেমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে উৎসর্গ করা মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম খানের ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং আমি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যাদের নাম অন্যায়ভাবে এসেছে, সেজন্য দুঃখপ্রকাশ করে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেব। আর যদি এ ভুলের পরিমাণ অনেক বেশি হয়, তাহলে পুরো তালিকা প্রত্যাহার করে নতুন তালিকা প্রকাশ করব। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি যখন তালিকা প্রকাশ করি, তখন বারবার বলেছি, এ তালিকা আমরা প্রণয়ন করিনি, প্রকাশ করেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যা পেয়েছি, তাই হুবহু প্রকাশ করেছি। গত রাতে এসব বিষয়ে খবর পেয়েছি। আজ অফিসে গিয়ে বিষয়টি দেখব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তালিকায় কোনো হাত দেয়নি। ১৯৭১ সালে যেভাবে ছিল, সেভাবেই তারা আমাদের দিয়েছে। আমার ধারণা, প্রথম যারা এ তালিকা প্রস্তুত করেছে, তারা হয়তো চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছ থেকে নিয়েছে। তখন অনেকের নাম চাপের মুখে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারাও হয়তো এ বিষয়ে জানে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার নাম যদি রাজাকারের তালিকায় আসত, আমিও কষ্ট পেতাম। যারা প্রকৃত পক্ষে রাজাকার ছিলেন না, তারাও একইভাবে কষ্ট পেয়েছেন। আমি সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এখানে আমার কোনো হাত ছিল না। যা পেয়েছি, তাই প্রকাশ করেছি। এখন আমাদের দৃষ্টিতে যদি আসে বা কেউ লিখিতভাবে আবেদন করেন যে উনারা উনারা রাজাকার ছিলেন না, তাহলে আমরা যাচাই-বাছাই করে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেবো।’
গত ১৫ ডিসেম্বর প্রথম দফায় সারাদেশের ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সেই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামও পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর ও ভাষা সৈনিক গোলাম আরিফ টিপুসহ আরও অনেকের নামই উঠে এসেছে এই তালিকায়।