স্ত্রীর মৃতদেহ হাসপাতালে রেখেই বন্ধুসহ পালালেন স্বামী
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:২০
ঢাকা: গুরুতর অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করায় সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সবুজবাগ এলাকার পলাশ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এসময় পালিয়ে গেছেন পলাশের বন্ধু সুজিতও। তবে হামিদা আক্তার লাবনী নামে (২২) ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তির পরই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১১টার দিকে লাবনীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়া জানান, পুর্ব মাদারটেক আবদুল আজিজ স্কুলের পেছনে একটি চারতলা বাড়ির নিচ তলায় স্বামী পলাশ ও পাঁচ বছরের মেয়ে আরোহীকে নিয়ে থাকতেন লাবনী। কোনো একটি কলহের সূত্র ধরে গতরাত ৮টার দিকে লাবনীর স্বামী পলাশ ও তার বন্ধু সুজিত সম্ভবত তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। তবে চিকিৎসক লাবনীকে মৃত ঘোষণা করলে হাসপাতাল থেকে পলাশ ও সুজিত দুজনই পালিয়ে যান। এখন তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
লাবনীর বড় বোন লাইলী আক্তার জানান, লাবনী পলাশের দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে পলাশ একটি বিয়ে করেছিলেন। ১০ বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কথা জানিয়ে ছয় বছর আগে লাবনীকে বিয়ে করেন পলাশ। তাদের একটি মেয়েও হয়। কিন্তু পরে জানা যায় যে পলাশ আসলে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেননি। বিষয়টি নিয়ে লাবনী ও পলাশের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো বলেও জানান তার বোন।
লাইলী বলেন, ‘পাঁচ বছরের মেয়ে আরোহীর কাছ থেকে জানতে পারি, গতরাতে পলাশ তার বন্ধু সুজিতকে নিয়ে বাসায় আসে ও লাবনীর সাথে ঝগড়া করে। এক পর্যায়ে সে বালিশ চাপা দেয় লাবনীকে। পরে নিজেরাই মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে। সেখানে চিকিৎসক লাবনীকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন লাবনীর বোন লাইলী আক্তার।