পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:২১
পাকিস্তানের সাবেক সেনা ও স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন সে দেশের বিশেষ আদালত।রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ-এর নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ আদালতের বেঞ্চ মোশাররফের বিরুদ্ধে এই রায় দেন।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
তবে পারভেজ মোশাররফ বর্তমানে পাকিস্তানে থাকেন না। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দুবাইয়ে পাকাপাকিভাবে বসবাস করছেন।
দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের পক্ষে আইনজীবী আলী জিয়া বাজওয়া সাবেক এই সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন।
বাজওয়া বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ, আব্দুল হামিদ দোগার ও জাহিদ হামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চায় সরকার। একসঙ্গে সব অভিযুক্তের বিচার করা উচিত। সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের এই সহযোগীদেরও বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
রাষ্ট্রদ্রোহ, জরুরি অবস্থা জারি, বেআইনি উপায়ে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টো হত্যা এবং লাল মসজিদ তল্লাশি অভিযান সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় বর্তমানে পলাতক রয়েছেন সাবেক এই পাক সেনাপ্রধান।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির আদালতে মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। সংবিধান লঙ্ঘন করে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে ওই বছর মোশাররফকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আদালত সাবেক এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ বিশেষ আদালতের কাছে হস্তান্তর করেন। বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ার সুযোগে ২০১৬ সালের মার্চে দেশ ত্যাগ করেন সাবেক এই পাক প্রেসিডেন্ট। আদালতের অনুমতি নিয়েই তিনি দেশ ছাড়েন সেই সময়।