বাংলাদেশে ওয়ার্ক পারমিট দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন— জানতে চান আদালত
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:৪০
ঢাকা: ব্যবসা ও অন্যান্য কাজে কতজন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে রয়েছেন; তাদের কতজনের কাজের বৈধ অনুমতিপত্র (ওয়ার্ক পারমিট) আছে এবং কতজন আয়কর দেন তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), এনজিও ব্যুরো এবং বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেপজা) এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেছেন— বিদেশি কর্মীদের বাংলাদেশে কাজের ক্ষেত্রে আইন অনুসারে ওয়ার্ক পারমিট দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া বিদেশি কর্মীদের কাজ করার ক্ষেত্রে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না?
চার সপ্তাহের মধ্যে বিডা, এনজিও ব্যুরো, বেপজা কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের লেখা ‘বাংলাদেশে এত বিদেশি কর্মী কেন’ শিরোনামে কলাম প্রকাশ হয়। ওই কলাম যুক্ত করে গত ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজুর নাহিদ।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
কলামে বলা হয়, একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুসারে বিদেশি কর্মীরা বাংলাদেশ থেকে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছেন। খবরটির উৎস প্রধানত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)। গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সংস্থা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও শিল্প বণিক সমিতি বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
সেই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, যে কোনো বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করতে চাইলে বিডা থেকে ওয়ার্ক পারমিট নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি এবং কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানও এই নিয়ম মানছে না। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন। অথচ বিডা থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ১ লাখ নাগরিককে। তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে ডলারে, তবে হিসাব দেখানো হচ্ছে টাকায়। কেউ কেউ বেতন নেন বিদেশে। এ কারণে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।