Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে


১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:২২

ঢাকা: চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) পর্যন্ত সময়ে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৩৬ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ৩০ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ৫২০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে। সরকারের নেওয়া এই ঋণের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে (২০১৮ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর) নিট ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২৬০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ২১ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। এই হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২৫ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্র থেকে ‍ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কমেছে ১৬ হাজার ১৪২ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭৪ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এই লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক ঋণ সরকার অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই নিয়েছে।

এদিকে, সঞ্চয়পত্র বিক্রির তুলনায় ব্যাংক খাত থেকে বেশি ঋণ নেওয়াকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছে সরকার। তাদের মতে, বর্তমানে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের গড় সুদের হার ১১ শতাংশ। আর ব্যাংক খাতে গৃহীত ঋণে সুদের হার ৭ শতাংশ। এতে করে সরকারের সুদ বাবদ ব্যয় কম হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হচ্ছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মোট ১৬ হাজার ১৪২ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র বিক্রি হওয়ায় এই পরিমাণ অর্থ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে। এতে করে ঋণের সুদ বাবদ সরকারের ৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আর সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ কড়াকড়ি আরোপ করায় বিক্রি কমে গেছে।

অর্থমন্ত্রণায় সূত্র আরও বলছে, সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমে যাওয়ায় উদ্ধৃত্ত অর্থ ব্যাংকিং খাতে ডিপোজিট হিসাবে এসেছে। এতে করে ব্যাংকের ডিপোজিট বেড়েছে। ফলে বর্তমানে ব্যাংকে কোনো ধরনের তারল্য সংকট নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতে ডিপোজিটের পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের ডিপোজিট ছিল ৮ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে ডিপোজিট বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ উৎস ঋণ ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ সরকারের ঋণ

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর