Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৫০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা, আমদানিকারকের লাগাম টানল কাস্টমস


১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৩০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করে ৫০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান। শিমু ট্রেডিং হাউজ নামে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি কারখানার যন্ত্রাংশ আমদানির ঘোষণা দিলেও তারা নিয়ে এসেছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রসহ উচ্চশুল্কের বিভিন্ন পণ্য।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে কায়িক পরীক্ষায় ঢাকার দক্ষিণখানের ওই প্রতিষ্ঠানটির জালিয়াতি ধরা পড়ে।

বিজ্ঞাপন

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পণ্য আমদানির জন্য যমুনা ব্যাংক ঢাকার রাজু এভিনিউ তেজগাঁও শাখায় ঋণপত্র (এলসি) খোলে শিমু ট্রেডিং। বিল অব লেডিং (বিএল) অনুযায়ী, সেলাই মেশিনের যন্ত্রাংশ, জিপার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্টিম আয়রন ও যন্ত্রাংশ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাটন আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল তারা। পণ্যের চালান নিয়ে হংকং থেকে সমুদ্রপথে গত ২২ মে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে জাহাজ।

সাত মাস পর কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া গেছে, ৮৩ হাজার ৫শ পিস স্কার্ফ, এক লাখ ইনসুলিন সিরিঞ্জ, ৩৭৯ জোড়া জুতা, ৩টি সাইকেল, ১১৩টি লেডিস ব্যাগ, ৪০টি ঘড়ি, ১০ লিটার শ্যাম্পু, ৩ লিটার ফেস ওয়াশ ও ২টি এয়ার কন্ডিশনার।

কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘোষিত পণ্যের শুল্ক হারের তুলনায় নিয়ে আসা পণ্যের শুল্ক হার অনেক বেশি। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় অর্ধকোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার উপ-কমিশনার নূর উদ্দিন মিলন সারাবাংলাকে বলেন, ‘চালানটি বন্দরে আসার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেটি নজরদারিতে রাখা হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমদানিরকারক প্রতিষ্ঠান খালাস নিতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় তাদের জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (বিআইএন) লক করা হয়েছে। ফলে আর কোনো পণ্য তারা আমদানি করতে পারবে না।’

বিজ্ঞাপন

শিমু ট্রেডিং শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর