Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার, ২৫ বছরে খরচ ৩৮ হাজার কোটি টাকা


১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৩৬

ঢাকা: দীর্ঘ দরকষাকষির পর নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে সরকার। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান গ্রান্ধি মালিকার্জুনা রাও (জিএমআর) করপোরেশনের কাছ থেকে নেপালে উৎপাদিত এই বিদ্যুৎ প্রতি কিলোওয়াট ৬ টাকা ৪২ পয়সা দরে কিনবে বাংলাদেশ। ২৫ বছরের এই প্রকল্পে মোট খরচ হবে ৩৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী জানান, ভারতের জিএমআর গ্রুপ নেপালে নির্মাণাধীন আপার কারনালি হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট থেকে ভারতের এনভিভিএন-এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করবে। এই বিদ্যুৎ আমদানির একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে আনুমানিক ৩৮ হাজার ১৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ২৫ বছর মেয়াদের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

প্রস্তাবনা থেকে জানা যায়, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান জিএমআর গ্রুপ নেপালের বাস্তবায়নাধীন আপার কারনালি হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট থেকে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে বছরে সর্বোচ্চ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রফতানি করবে। ভারতীয় সংস্থা এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভাইপার নিগারন লিমিটেডের (এনভিভিএন) মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানি করতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সে অনুযায়ী স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে দরকষাকষির ভিত্তিতে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের চূড়ান্ত ক্রয় মূল্য নির্ধারিত হয় ৬ টাকা ৪২ পয়সা। সে হিসাবে ২৫ বছর মেয়াদে জিএমআর গ্রুপকে অনুমানিক ৩৮ হাজার ১৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুৎ বিভাগের আরও ৩ ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন

বুধবারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে মোট চারটি ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ডের বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়করণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) সংশোধিত শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ ১-এর আওতায় পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় দুই লটে অফিস ও আবাসিক ভবনের পূর্ত কাজ বাড়ায় ব্যয় বেড়েছে ১০১ কোটি ২৭ লাখ  ৬৬ হাজার টাকা। সংশোধিত প্রস্তাবের দুইটি লটের মধ্যে প্রথম লটের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, দ্বিতীয় লটে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি ২ হাজার ৪৬৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের আরও দুই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো— বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ডের বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়করণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) (সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের ইউআরআইডিএস (ই) সি ডব্লিউ -০১-০২ লটের আওতায় পূর্ত কাজের ক্রয়প্রস্তাব এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯ দশমিক ৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংস্থানসহ প্রথম সংশোধন) শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ১.৫ এমসিসি- জি-৬৯-এর লট-২ ও লট-৫-এর আওতায় ২৯ দশমিক ৯৯০ কিলোমিটার কন্ডাক্টর ক্রয়ের প্রস্তাব।

৩৮ হাজার কোটি টাকা ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি ৬ টাকা ৪২ পয়সা দর টপ নিউজ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বিদ্যুৎ আমদানি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর