পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৪৭
ঢাকা: থানায় পুলিশি নির্যাতনে আলমগীর (৩৮) হোসেন নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আলমগীরকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আলমগীরের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদরে। তার বাবার নাম নুরুল ইসলাম। সে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের শেষ মাথায় ফুলবাড়িয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতো এবং ৭নম্বর সেক্টরে এক মালিকের গাড়ি চালাতো।
আলমগীরের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাকের অভিযোগ, ‘১৬ ডিসেম্বর রাতে ডিউটি শেষ করে বাসায় ফেরার পথে ১১ নম্বর সেক্টর থেকে সন্দেহজনকভাবে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ১৭ ডিসেম্বর সকালে রাজ্জাকের স্ত্রী আলো খাতুনসহ থানায় যাই। তখন আলমগীরকে গাড়িতে তুলে আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আলমগীর হাঁটতে পারছিল না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিল। কিন্তু আলমগীরতো সুস্থ ছিল।’
রাজ্জাক বলেন, ‘আমার ভাইকে থানায় মারধর করেছে। আর এ কারণেই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিকেলে জানতে পারি, ভাইকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে আলমগীরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’
পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ সম্পর্কে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন সাহা বলেন, ‘অনেক আসামিইতো ধরি। কোন আলমগীর মারা গেছে সেটাতো বলতে পারব না। এরকম কিছু আমাদের নলেজে নেই।’
বৃহস্পতিবার আলমগীরকে কারাগার ঢামেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে কারারক্ষী মো. রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, হাজতি হিসেবে সে কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিল। বিকেলে কারাগারে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।