Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তাপমাত্রা বাড়লেও কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে স্থবির জনজীবন


২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:৫৪

কুড়িগ্রাম: তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কুড়িগ্রামে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিলো ৯.৮। এ অবস্থায় কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গরম কাপড়ের অভাবে বিপাকে পড়েছেন শিশু, বৃদ্ধসহ চরাঞ্চলের মানুষেরা। কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবীদের।

বিজ্ঞাপন

চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় ৪ শতাধিক চরাঞ্চলে বেশির ভাগ মানুষ খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। কনকনে ঠাণ্ডায় জেলার অসহায় দারিদ্র মানুষেরা জবুথুবু হয়ে দিন পার করলেও সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীত বস্ত্র বিতরণের কোনো তৎপরতা নেই।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

কৃষি আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেও উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডা অব্যাহত রয়েছে। তার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের।

কুড়িগ্রাম শহরের ভ্যানচালক আলী বলেন, ‘কনকনে ঠাণ্ডায় ঘর হতে বের হওয়া যায় না। তেমন গরম কাপড় না থাকায় ফুটপাত থেকে কেনা পুরাতন সোয়েটার ও বাড়ির একটি পুরানো চাঁদর গায়ে পেঁচিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু তেমন ভাড়া মিলছে না, আর ভাড়া না পেলে তো খাবারও উপায় থাকে না।’

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের তৈয়ব আলী, পার্বতীপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ও তিন হাজারীর চরের সুলতান জানান, শীতের সঙ্গে হিমেল হাওয়া চরাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ সুলতানা পারভীন জানান, জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখার তথ্য অনুযায়ী জেলায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫১৪ পিস কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা ৯ উপজেলায় বণ্টন করা হয়েছে। নতুন করে আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। শীত মোকাবিলার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কুড়িগ্রাম শৈত্যপ্রবাহ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর