Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড


২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বছরে ৩ মিলিয়ন বা ৩০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড অর্জন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বের খুব অল্পসংখ্যক বন্দরের বছরে ৩০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা আছে। চট্টগ্রাম বন্দর সেই অল্পসংখ্যক বন্দরগুলোর কাতারে স্থান করে নিয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০ লাখ ২ হাজার ৪২টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। এর ফলে এক বছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে চট্টগ্রাম বন্দর। বছর শেষ হতে আরও ১০ দিন বাকি আছে। প্রতিদিন বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয় গড়ে ৮ হাজার। সে হিসেবে ৩০ লাখের সঙ্গে যোগ হবে আরও প্রায় ১ লাখ।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম বন্দরের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বন্দর এক বছরে ৩০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। এটা বন্দরের ইতিহাসে মাইলফলক। খুব শিগগিরই আমাদের চেয়ারম্যান স্যার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।’

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ২৯ লাখ ৩ হাজার কনটেইনার পরিবহন করেছে। ২০১৭ সালে তা ছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার। ২০১৬ সালে হয়েছে ২৩ লাখ ৪৭ হাজার। বন্দরের জেটি, পানগাঁও টার্মিনাল ও কমলাপুর কনটেইনার ডিপো মিলে কনটেইনার পরিবহনের এই সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে।

অর্থবছরের হিসেবে, ২০১৩-১৪ সালে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ৫০৯টি, ২০১৪-১৫ সালে ১৮ লাখ ৬৭ হাজার ৬২, ২০১৫-১৬ সালে ২১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩৯, ২০১৬-১৭ সালে ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৮১, ২০১৭-১৮ সালে ২৭ লাখ ৫ হাজার ৯০৯ এবং ২০১৮-১৯ সালে ২৮ লাখ ৮ হাজার ৪৯৯ টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।

বিজ্ঞাপন

প্রতি বছর কনটেইনার পরিবহনে প্রবৃদ্ধির স্বীকৃতি আসে বৈশ্বিক ক্রম তালিকায়ও। গত আগস্টে লন্ডনভিত্তিক শিপিং-বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’ প্রকাশিত তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের ১০০ ব্যস্ত বন্দরের মধ্যে ৬৪তম হিসেবে স্থান পায়। এক বছরের ব্যবধানে ছয় ধাপ এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৮ সালে বিশ্বের বন্দরগুলোর কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে এই তালিকা করা হয়।

তালিকা অনুযায়ী, ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ছিল ৭০তম অবস্থানে। এর আগে ২০১৬ সালে এই বন্দরের অবস্থান ছিল ৭১তম। ওই তালিকায় কনটেইনার পরিবহনে বিশ্বের সেরা ১০০ বন্দরের মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে চীনের সাংহাই বন্দর।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন সদস্য সারাবাংলাকে বলেন, “বিশ্বের বন্দরগুলোর মধ্যে কয়েক কোটি কনটেইনার বছরে হ্যান্ডলিং করে এমন বন্দর আছে। কিন্তু খুব বেশি নেই। আবার খুব বেশি বন্দর নেই যাদের বছরে ৩০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড আছে। যাদের আছে আমরা তাদের কাতারে পৌঁছলাম। এতে আমাদের র‌্যাংকিংটা বাড়বে। বিশ্বব্যাপী এখন এই মেসেজ যাবে যে, চট্টগ্রাম বন্দর ‘থ্রি মিলিয়ন ক্লাবের’ মেম্বার। এটা প্রমাণ করে যে, আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়ছে। শিল্পের উৎপাদনও বাড়ছে।”

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা অনেক বড় অর্জন। চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রেকর্ড। চট্টগ্রাম বন্দরকে এই অগ্রযাত্রাটা ধরে রাখতে হবে। একই সঙ্গে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে।’ বে-টার্মিনাল হলে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কনটেইনার হ্যান্ডলিং চট্টগ্রাম বন্দর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর