বেসিক ব্যাংকের অনিয়ম তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:১৬
ঢাকা: ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বেসিক ব্যাংকে ১ হাজার ১শ ৭৩ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী তাইতাস হিল্লোল রেমা।
আবেদনে অনিয়ম তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে তলবের আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী তাইতাস হিল্লোল রেমা সারাবাংলাকে বলেন, বেসিক ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা, নিয়োগ সংক্রান্ত বিধি-বিধান- কোনো কিছুই মানা হয়নি। রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকে স্থান হয়নি যোগ্য-মেধাবীদের। দুর্নীতি-অনিয়ম করে খেয়াল খুশিমতো নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা অকল্পনীয়।
তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকে ১ হাজার ১৭৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে গত ২৯ নভেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘যেমন খুশি তেমন নিয়োগ বেসিক ব্যাংকে’শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে আদালত লিখিত আবেদন দিতে বলেছেন এজন্য আজ এফিডেফিট করে আবেদন দাখিল করলাম।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর আইনী নোটিশ দিয়েছিলাম। নোটিশের কোন জবাব না পাওয়ায় আজ আবেদন করেছি।
আগামীকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে বলেও জানান তিনি।
আবেদনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্ত করলেও নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে না।
এ ব্যাপারে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক কাজী সফিকুল আলম জানান, নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত সিএজির নিরীক্ষা প্রতিবেদন তাদের হাতে পৌঁছেনি। প্রতিবেদনটি পেলে নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
এতে অভিযোগ করা হয়, নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা লঙ্ঘন করে কোনো বিজ্ঞপ্তি ও লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই, এমনকি আবেদনপত্র জমা না দিলেও কিংবা জীবনবৃত্তান্তে স্বাক্ষর না থাকলেও অনেককে বেসিক ব্যাংকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। উত্তরপত্র অতি মূল্যায়িত করে নম্বর দিয়েও চাকরি দেয়া হয়েছে অদক্ষ, অনভিজ্ঞদের। শিক্ষাগত সনদে একাধিক তৃতীয় শ্রেণি থাকলেও কিংবা চাকরির বয়সসীমা পার হয়ে গেলেও নিয়োগ পেয়েছেন কেউ কেউ।