নুরকে দেখতে হাসপাতালে নানক-নাছিম
২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:৫৫
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলা আহত ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ আহতদের দেখতে হাসপাতালে গেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
ঢাবিতে সংঘর্ষ: লাইফ সাপোর্টে শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চের ফারাবি
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে যান নুরকে দেখতে।
তারা হাসপাতালে পৌঁছে নুরুর কেবিনে ঢোকার চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ মঞ্চের শিক্ষার্থীরা তাদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেন এবং প্রতিবাদ জানান। এসময় তারা নানা রকম স্লোগান দিতে থাকে।
পরে নুরকে দেখে বের হওয়ার সময় নানক বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেছি তাদের দেখতে। হামলা যে এত বর্বর হয়েছে বুঝতে পারিনি।’
কাউন্সিল নিয়ে কয়েকদিন ব্যস্ত ছিলেন উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘আজ যে ঘটনাটি ঘটেছে এরপর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা উশৃঙ্খলতা সহ্য করব না। ডাকসুর সদ্য নির্বাচিত ভিপি নুরসহ অনেকে আহত হয়েছেন। এটা কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ব্যাপার নয়। দুষ্কৃতিকারীরা কোনো জায়গার নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করার জন্য, শিক্ষার পরিবেশকে বিঘ্নিত করার জন্য এ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। হামলাকারীরা যে মঞ্চেরই হোক কাউকেই সরকার রেহাই দেবে না। শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনে তাদের কাউকে ছাড় নয়। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে বহু জরুরি রোগী আছে। কিন্তু কেউ কেউ হাসপাতালে বসে স্লোগান দিচ্ছে। যারা স্লোগান দিচ্ছে তাদের কুমতলব রয়েছে। তাদের বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা স্লোগান দিচ্ছে এরা কারা? তারা কি চায়? এদের উদ্দেশ্য কি? এ বিষয়গুলো আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সেইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ থাকবে, সব বিষয় খতিয়ে দেখে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যাতে কোনো মঞ্চই গোলযোগ করতে না পারে।’
এ হামলার মধ্য দিয়ে সরকারের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থাহীনতার জায়গা তৈরি হবে কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এ ধরনের ঘটনায় সরকারের প্রতি আস্থাহীনতার প্রশ্নই ওঠে না। যদি তাই হতো তাহলে আমরা তাদেরকে দেখতে আসতাম না। আমরা কিন্তু খবর পেয়েই ছুটে এসেছি। আমরা কিন্তু আসার সময় কোনো ছাত্রলীগকে ডাকিনি। ডাকলে হাজার খানেক নেতাকর্মী এখানে আসতো।’
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুরসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ভিপি নুরসহ কমপক্ষে ১৫ জন মারাত্মক আহত হলে তাদের কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।