সোমবার সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ
২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৫৫
ঢাকা: ঢাকা বিশবিদ্যালয়ে ভিপি নুরসহ অন্যদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট ডেকেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন এ ঘোষণা দেন।
আখতার হোসেন বলেছেন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে।
রোববার (২২ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনের প্রশ্রয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী কয়েকদিন ধরে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন জোর ব্যবস্থা নেয়নি। এ জন্যই তারা আজ হামলা চালানোর সাহস পেয়েছে। কয়েককদিন আগেও তারা একইভাবে হামলা চালায়। এই হামলায় সরকারেরর মদদ আছে, ভারতের ‘র’ জড়িত রয়েছে।’
আখতার আরও বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদের বহিষ্কার করতে হবে। শাস্তি দিতে হবে। বারবার আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। প্রশাসন ব্যর্থ ভুমিকা পালন করছে। তাই প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের অভিযোগ আমলে নেয় নাই। যারা অভিযোগ দিতে গিয়েছে, তাদেরকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
হামলায় আহত সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান বলেন, ‘এর আগের হামলার অভিযোগ দেওয়ার জন্য আজ আমরা ডাকসুতে যাই। তখন ছাত্রলীগের সঞ্জিত, সাদ্দামসহ বেশ কয়েকজন নুরের কক্ষে প্রবেশ করে। সঞ্জিত বলে, ‘আমি তোর থেকে বড় গুন্ডা। এখান থেকে দুই মিনিটের মধ্যে বের হয়ে যাবি। তা না হলে মেরে ফেলব।’ এ সময় নুরের কয়েকজন আত্মীয় ছিল। তাদেরকেও মেরে বের করে দেয়। কিছুক্ষণ পর রুমের দরজা বন্ধ করে লাইট বন্ধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সসময় সোহেল ফারাবীসহ কয়েকজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ঢাবির মত জায়গায় আমাদের নিরাপত্তা নেই। যেকোনো সময় আমাদের মেরে ফেলবে তারা।
এই সময় উপস্থিত ডাকসুর ভিপি নুরেরর বাবা মো. ইদ্রিস হাওলদার বলেন, ‘আমি আমার ছেলের জন্য আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী। নুরের নাগরিক অধিকার আছে। বারবার তার ওপর নির্যাতন করা হয়। কেন আমাদের ওপর অনধিকার চর্চা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, কেন বারবার হামলা হয়? আপনার কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব, এর সুষ্ঠু বিচার যেন হয়।’
এ সময় উপস্থিত আহত এপিএম সোহেলের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘এর আগেও সোহেলকে মারধর করা হয়েছে। জেল খাটিয়েছে। কোনো বিচার হয় নাই। কেউ বিচার করে না।’