সুপ্রিম কোর্টে জানাজায় শেষ বিদায় মাহমুদুল আমিন চৌধুরীকে
২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:২৫
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাবেক প্রধান বিচারপতি প্রয়াত মাহমুদুল আমিন চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন তার সহকর্মীসহ সিনিয়র-জুনিয়র আইনজীবীরা। জানাজার মাধ্যমে দীর্ঘ দিনের এই কর্মস্থলে তাকে শেষ বিদায় জানালেন সবাই।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মাহমুদুল আমিনের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ইমান আলী ও সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনসহ আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র-জুনিয়র আইনজীবীরা অংশ নেন। জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে সিলেটের পথে রওনা হন স্বজনরা।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান, জানাজা শেষে সাবেক প্রধান বিচারপতির মরদেহ সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে রাতে হযরত শাহজালালের মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি। বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী ছিলেন দেশের ১১তম প্রধান বিচারপতি। ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি লতিফুর রহমান অবসর নেওয়ার পর তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০১ সালের ১ মার্চ থেকে ২০০২ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৬৩ সালে আইনজীবী হিসেবে সিলেট জেলা বারে যোগ দেন মাহমুদুল আমীন চৌধুরী। এরপর ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০২ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত উচ্চ আদালতে বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৯ সালের জুনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হন মাহমুদুল আমীন চৌধুরী। তার আগে ১৯৬৩ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ জুন। তার বাবা আব্দুল গফুর চৌধুরী ছিলেন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মাহমুদুল আমীন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় (এসএসসি সমমান) উত্তীর্ণ হন। এরপর এমসি কলেজ থেকে স্নাতক ও ঢাকা সিটি ল’কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।