বেসিক ব্যাংকের এমডি সাড়ে ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ
২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:০৬
ঢাকা: বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামো বহাল রাখার দাবিতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আলমকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারিরা। এসময় ব্যাংকের এমডি’র কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বহাল রাখার দাবি জানান তারা। ফলে সাড়ে ৫ ঘণ্টা নিজের কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে ছিলেন রফিকুল আলম।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মতিঝিলের সেনা কল্যান ভবনে বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
পরে অবরোধ তুলে নিলেও সন্ধ্যা ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রফিকুল আলম ব্যাংকেই অবস্থান করছেন এবং দফায় দফায় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোতে বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাংকটি বড় ধরনের লোকসানে থাকার কারণে বিদ্যমান কাঠামোতে বেতন দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই বেসিক ব্যাংকের বর্ধিত বেতন কাঠামো বাতিল করা হয়েছে। এখন আন্দোলন করলে কী হবে? এমডি’র পক্ষে সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব হবে না।’
বেসিক ব্যাংকের বেতন কাঠামো বাতিল, আসছে সোনালী-অগ্রণীর কাঠামোয়
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকটির একাধিক বেসিক ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো দেখেই তারা এই ব্যাংকে চাকরি শুরু করেছিলেন। এখন বেতন কমানো অযৌক্তিক। কোনো কারণ দেখিয়েই বেতন কমিয়ে দেওয়া যায় না। কম বেতন হলে তারা এই ব্যাংকে চাকরিই করতেন না বলেও উল্লেখ করেন অনেকে। তাই স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বহাল ও নতুন অফিস আদেশ বাতিলের দাবিতে এমডিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বলেও জানান তারা।
এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ব্যাংকটি লোকসানে পড়েছে। তাই এর দায়ভার আমরা কেন নেব?’
এর আগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামো বাতিল করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুরূপ বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার কথা জানিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়। ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগের মহ্যব্যবস্থাপক আহমেদ হোসেনের সই করা ওই আদেশে বলা হয়, বেসিক ব্যাংকের বেতন কাঠামো হবে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের অনুরূপ।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত জানার পর সোমবার সকালে ব্যাংকটির কর্মকর্তা কর্মচারিরা অফিস আদেশ বাতিল করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন।