খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত আদালতের: কাদের
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:১২
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, এটা আদালত ঠিক করবে। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের এ বিষয়ে বলার কিছু নেই। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল ৮ ফেব্রুয়ারি, তার আগে কেন, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা তুলে নিল? আমি বারবার প্রশ্ন করার পরও এ প্রশ্নের কোনো জবাব পাচ্ছি না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্রের সাত ধারা ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দেউলিয়াপনার বিরুদ্ধে, উন্মাদ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এবং আদালতের দণ্ডিত ব্যক্তি তথা নৈতিকতার বিরুদ্ধে একটি রক্ষাকবজ। এতে বলা ছিল, কোনো ব্যক্তি সমাজে দুর্নীতিবাজ কিংবা কুখ্যাত কিংবা আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। পাশাপাশি বিএনপির নির্বাহী কমিটি, জাতীয় কমিটিসহ কোনো পর্যায়ে থাকতে পারবেন না।
রায়ের আগে বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র থেকে নৈতিকতার রক্ষাকবচ সাত ধারা তুলে নিয়ে তারা কী, উন্মাদ হওয়া, দেউলিয়া, দণ্ডপ্রাপ্ত ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে লাইসেন্স দিল দল করার জন্য? বিএনপির নেতা হতে হলে নৈতিকতার কোনো সীমারেখা মানা যাবে না? অনৈতিক লোক, দুর্নীতিবাজ, উন্মাদ, দেউলিয়া লোক বিএনপির নেতা হতে পারবেন ? এতবড় একটা ধারা তারা সংশোধন করল, এ জন্য তারা কোনো কাউন্সিল করল না। কেন তারা সাত ধারা সংশোধন করল দেশবাসী তা জানতে চায়।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সাত ধারা বিএনপির গলার কাটা হয়ে দাঁড়াবে। এটা গঠনতন্ত্র থেকে তুলে নিয়ে তারা নিজেরা নিজেদের পায়ে কুড়াল মেরেছে। এতে তারা নিজেদের সংকট তৈরি করেছে। নিজেদের সংকটের ফাঁদে তারা নিজেরাই পড়বে।’
খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপিল যদি করেন, আদালত যদি মনে করেন এবং সে অনুযায়ী রায় দেন, তখন বুঝা যাবে বেগম জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা। এটা আদালতের সিদ্ধান্ত, বেগম জিয়ার নির্বাচন করতে পারা না পারা, সরকার এবং আওয়ামীলীগের এখন কিছু করার নেই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কারো জন্য কোন কিছু আটকে থাকে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর পার্লামেন্টের দুটি সংস্থার প্রধান হয়েছে ঢাকা। পার্লামেন্টের সম্মেলনও ঢাকায় হয়েছে। কই, কোনো দেশ কিন্তু বলে নাই ৫ জানুয়ারি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। আমরা ঢাকার সম্মেলনে যাব না।’
তিনি বলেন, আগামী ১১ মার্চ বিজেপির আমন্ত্রণে ৫ দিনের সফরে ভারতে যাচ্ছি। এতে আওয়ামী লীগের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।
সারাবাংলা/জিএস/জেএএম