Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতামূলক হবে: সিইসি


২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৪৭

ঢাকা: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনকে অত্যন্ত সিরিয়াসলি নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হবে।’

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০ উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সহায়ক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতামূলক হবে: সিইসি

সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘রাজধানীর ভোটের দিকে সবার নজর থাকে। পৃথিবীর নানানা রকমের কূটনৈতিক মহলের দৃষ্টি থাকে। তাই নির্বাচন পরিচালনা ও দায়িত্ব পালনে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস ও আস্থার সঙ্গে বলতে চাই আপনারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের সময় দল, মত, আদর্শের প্রতি দুর্বলতা থাকতে পারে না। আমরা নির্বাচনটা অত্যন্ত সিরিয়াসলি দেখতে চাই।’

নির্বাচনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, প্রতিযোগিতামূলক, অংশশগ্রহণমূলক হবে। মনে রাখতে হবে প্রত্যেক প্রার্থী কার কি ধর্ম, কার কি বর্ণ, কার কি রং, রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড সেটি নির্বাচনে যারা দায়িত্ব থাকবেন তাদের দেখার বিষয় নয়। প্রত্যেকের সঙ্গে সমান আচরণ করতে হবে। প্রত্যেকের কথা ধৈর্য্য ধরে শুনতে হবে। নীতি নির্ধারণী এলাকা ছাড়া সকল দায়িত্ব আপনাদের ওপর অর্পিত রয়েছে। সেখানে ছন্দ, গদ্য, পদ্যের দরকার নেই। বাস্তব প্রেক্ষাপটে কি আছে সেটা দেখতে হবে। অনেকে অনেক লালিত পালিত কথা বলবে, কিন্তু আপনারা মাঠে থাকবেন। যা দেখবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। সমস্যা হলে ব্যবস্থা নেবেন। নির্বাচনের অনেক পরিপত্র জারি হয়ে গেছে। সেখানে সব নির্দেশনা আছে।

বিজ্ঞাপন

অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে ইভিএম টিকে আছে উল্লেখ করে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, ‘আপনারা অনেকে ইভিএমে নির্বাচন করেছেন। ইভিএম নির্বাচন পরিচালনায় কোনো অসুবিধা দেখিনি। এর মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। ইভিএম যারা মাঠে ময়দানে দেখেন, প্রয়োগ করবেন তাদের কাছে সন্দেহ থাকলে আমাদের বলবেন। যদি সবাই বলেন এটা দিয়ে ভালোভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যায় না তাহলে করব না।

জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমরা সুফল পেয়েছি তাই ধরে রেখেছি। ভোটাররা যেন তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। ভোটাররা যেন পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে।

এসময় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য ও আইনানুগ নির্বাচন চায় ইসি। অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।’

নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নির্বাচন করতে ইসি সক্ষম। কর্মকর্তারা যদি সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে। আস্থার জায়গা দৃঢ় করতে চায় ইসি। এটি সক্ষমতার পরীক্ষা। নির্বাচন যেন প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকে। নির্বাচন নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেজন্য ইভিএমে ভোট হবে। ইভিএম নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনাগ্রহের জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে হবে।’

নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রতি কেন্দ্রে দুজন করে সেনাবাহিনীর টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া হবে। কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করে কমিশনের ভাবমূর্তি। প্রার্থীরা যেন লেভেল প্লেইং ফিল্ড পায় সেভাবে কাজ করতে হবে। নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ইসি।’

আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপনিরচালক মো. নূরুজ্জামান তালুকদার।

ইসি নির্বাচন সিটি করপোরেশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর