বড় পদবি, বড় রেসপনসিবিলিটি: বিপ্লব বড়ুয়া
২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:২৯
ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপসম্পাদক পদ থেকে পূর্ণাঙ্গ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পাওয়াকে বড় ‘রেসপনসিবিলিটি’ বলে মনে করছেন বিপ্লব বড়ুয়া।
সদ্যঘোষিত কমিটিতে দফতর সম্পাদকের পদ পাওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এটি বড় পদবি, বড় দায়িত্ব; এটি বড় একটি রেসপনসিবিলিটি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমার প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যেন সেই আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্যায়ন করতে পারি, সেজন্য আপনারা প্রার্থনা করবেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে আয়োজিত এক সংবর্ধনা ও সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিপ্লব বড়ুয়াকে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে দফতর সম্পাদক ও এর আগেই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে সংবর্ধিত করতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন।
সংবর্ধনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কনসেপ্ট কিন্তু সুষম উন্নয়ন। দেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন, সাধারণ মানুষের জন্য রাষ্ট্রের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, দল-মত ও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য বৈষম্যহীন সমানাধিকার, প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান মর্যাদা— এগুলোই আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার কনসেপ্ট।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র রাজনৈতিক দল যে রাজনৈতিক দল জন্ম থেকে অসাম্প্রদায়িক, উদার ও গণতান্ত্রিক নীতি ধারণ করে গোটা জাতিকে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয় করেছিল। জাতির পিতার কন্যা এখনো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা প্রার্থনা করবেন, তিনি যেন আমৃত্যু মানুষের সেবা করার সুযোগ পান।
কেবল মুখে নয়, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক চর্চাতেও অসাম্প্রদায়িক নীতি অনুসরণ করে দাবি করেন দলের নতুন এই দফতর সম্পাদক বলেন, এর আগে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছিল, সেখানে ১৪ দলের পক্ষ থেকে দিলীপ বড়ুয়া শিল্পমন্ত্রী হয়েছিলেন। নামের শেষে বড়ুয়া আছে— এমন কেউ এর আগে স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রী হতে পারেননি। কিন্তু দিলীপ বড়ুয়াকে শেখ হাসিনা শিল্প মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এখন আমাকে দফতর সম্পাদকের পদ দিয়েছেন। আমি জানি, আমার এই পদ-পদবি চিরস্থায়ী নয়। কেউই সারাজীবন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক থাকবে না। তবে এখন দায়িত্বে আছি, দায়িত্ব পালন করে যাব।
শেখ হাসিনার আস্থার প্রতিদান দিতে চান জানিয়ে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এটা বড় একটা রেসপনসিবিলিটি। আমি এমন কোনো কাজকর্ম করতে চাই না যাতে করে আপনারা ছোট হন, আমার সম্প্রদায় ছোট হয়। কোনো পাপ, কোনো অন্যায় কাজ যেন আমাকে স্পর্শ না করে। যতদিন জীবন থাকবে, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমার প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, তা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারি— আপনারা আমার জন্য এই প্রার্থনাটুকু করবেন।
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি প্রকৌশলী দিবেন্দু বিকাশ বড়ুয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউঢ়) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বৌদ্ধ বিহারের উপাধক্ষ্য ভদন্ত বুদ্ধানন্দ মহাথেরো, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দা প্রিয়, নেত্রসেন বড়ুয়া, জগন্নাথ বড়ুয়া, রিপন কান্তি বড়ুয়া, দীপ্তি বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সভাপতি কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহসিন গণিসহ অন্যরা। অভিনন্দনপত্র পাঠ করেন বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সহসভাপতি সাক্ষপ্রিয় বড়ুয়া।
আওয়ামী লীগ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন বিপ্লব বড়ুয়া সংবর্ধনা