Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ধর্মকে ব্যবহার করে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে’


২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:২৫

ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যেন নৈরাজ্য তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, ধর্ম আমাদের আলোর পথ দেখায়। ধর্ম আমাদের অন্যায়, পাপ ও অন্ধকার থেকে দূরে রাখে। তাই ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যেন নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য সবাই সজাগ থাকবেন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।

তরুণদের যেন কেউ ধর্মের নামে বিভ্রান্ত না করতে পারে, সেজন্য রাষ্ট্রপতি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ বিষয়ে বিশেষ করে অভিভাবকদের সতর্ক থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, দেশের এই অর্জন সব জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফসল। এসময় তিনি ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ খ্রিষ্টানদের পবিত্র উৎসবে তাদের সুখ, সমৃদ্ধি ও আনন্দময় ভবিষ্যৎ কামনা করেন। যিশু খ্রিষ্টকে আলো ও মুক্তির দূত উল্লেখ করে তিনি বলেন, যিশু খ্রিষ্ট বিশ্বের শান্তির পথ দেখিয়ে গেছেন। তার দর্শন ছিল ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা ও ন্যায় বিচারে পরিপূর্ণ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, বর্তমানে এই সমস্যাসংকুল ও সংকটময় বিশ্বে জাতিতে-জাতিতে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যিশুর শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন।’

একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, কূটনৈতিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মিশনের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তি, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে একটি ক্রিসমাস গাছ রোপণ ও মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। এসময় একদল সংগীতশিল্পী বড়দিনের গান পরিবেশন করেন।

পরে রাষ্ট্রপতি বড়দিনের কেক কাটেন ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। বাসস।

খ্রিষ্টান সম্প্রদায় বঙ্গভবন বড়দিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শুভেচ্ছা বিনিময়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর