রাজধানীর নিকেতনে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা; আটক ৬
২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:২৮
ঢাকাঃ রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার নিকেতনের একটি বাসা থেকে তোবারক হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার গৃহকর্মী, দারোয়ান ও পালকপুত্রসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে যান ব্যবসায়ী শাহ তোবারক হোসেন। পরদিন সকালে সাড়াশব্দ না পেয়ে তার রুমে যান তোবারকের পালিত ছেলে ফয়সাল। খাটের ওপরেই তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। এরপর পুলিশে খবর দিলে তার মরদেহ উদ্ধার করে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে নিকেতনের বাসায় থাকতেন তোবারক। আর তিন মেয়েকে নিয়ে মহাখালী এলাকায় আলাদা থাকেন তার স্ত্রী। এক ছেলে থাকেন দেশের বাইরে। তোবারকের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের চর পাড়ে। তার মহাখালীতে একটি মার্কেট আছে। তোবারক চট্টগ্রামের শফি মাইজভান্ডারীর অনুসারী ছিলেন। এ কারনে তার বাসায় অনেকেই আসত বলে জানা গেছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী শফিউল ইসলাম বলেন, তোবারক হোসেনের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে হাসান ও সাইফুল নামে দুই ব্যক্তি থাকতেন। ঘটনার পর থেকে হাসানকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সাইফুলসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার ভোরে তোবারকের ফ্ল্যাটে কলবেল বাজে। তার এক কর্মী দরজা খুলে দিলে দুই মুখোশধারী ব্যক্তি ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়েন। তারা ওই সময় তোবারকের কাছে যান এবং তাকে কুপিয়ে জখম করে দ্রুত পালিয়ে যান। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ গিয়ে তোবারকের ফ্ল্যাটের আলমারি ভাঙা পেয়েছে। সেখান থেকে টাকা লুট হয়েছে বলে জানা গেছে। তার বাসায় মাইজভান্ডারীর ভক্তরা আসতেন। ধারণা করা হচ্ছে, মতাদর্শগত বিরোধ বা টাকা লুটের জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তোবারককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। পরে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হয়।
সারাবাংলা/ইউজে/