বিএনপির ইউটার্ন ও আশাভঙ্গের বছর
২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৩৩
ঢাকা: ১ জানুয়ারি ২০১৯। নতুন বছরের প্রথম দিন। ঠিক একদিন আগে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভয়াবহ বিপর্যয়ের ক্ষত তখন দগদগে। দলের চেয়ারপারসন কারাগারে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে পারছিলেন না ঢাকার নেতারা। অবশেষে লন্ডন থেকে বার্তা এলো— সব প্রার্থীকে ঢাকায় ডাকা হোক।
বিএনপির ২৪১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রায় ২০০ জন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে তিন থেকে চারজন, ২০ দলীয় জোটের ১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়জন ঢাকায় এলেন ৩ জানুয়ারি। এলেন না কেবল বহু দিনের পুরনো মিত্র জামায়াতের ২২ প্রার্থীর কেউ।
দল ও জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রার্থীর উপস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল বিএনপির হাইকমান্ড— ১. একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে যে আটজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, তারা কেউ শপথ নেবেন না, ২. বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি, ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং ১০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পূর্ণ বর্জন করে বিএনপি। শুধু তাই নয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ এবং নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার দায়ে তৃণমূলের কয়েক শ’ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়।
দল ও জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ৭ মার্চ শপথ নেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, ২ এপ্রিল শপথ নেন মোকাব্বির খান এবং ২৫ এপ্রিল শপথ নেন জাহিদুর রহমান। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই তিন সংসদ সদস্যকে ‘রাজনৈতিক বেঈমান’ আখ্যা দেওয়া হয়। দুইজনকে দল ও জোট থেকে বহিষ্কার করা হয়। একজনকে দেওয়া হয় ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশ।
কিন্তু ২৯ এপ্রিল এসে ইউটার্ন নেয় বিএনপি। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টায় সংসদে গিয়ে শপথ নেন বিএনপির চার সংসদ সদস্য। রাত ৯টায় গুলশান কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছেড়ে দেওয়া বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন হয় ২৪ জুন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরেক দফা ইউটার্ন নেয় বিএনপি। জিএম সিরাজকে দেওয়া হয় দলীয় মনোনয়ন। ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে জয় পান সিরাজ। ভোটে জিতে শপথের প্রস্তুতি নেন তিনি।
ক্ষোভে ফুসে ওঠে বিএনপির তৃণমূল। একদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূল নেতাদের গণহারে বহিষ্কার। অন্যদিকে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ— এই দ্বি-চারিতা মেনে নিতে পারছিলেন না তৃণমূল নেতারা। বিশেষ করে, বহিষ্কারাদেশ মাথায় নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছিলেন, তারা সাফ জানিয়ে দেন, দ্রুত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে কর্মী-সমর্থকসহ ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেবেন তারা।
বহিষ্কারাদেশ মাথায় নিয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ফারুক আহমদ ওই সময় সারাবাংলাকে বলেন, ‘কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের পরামর্শে প্রার্থী হয়েছিলাম। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও নির্বাচিত হয়েছি। দল যদি দ্রুত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করে, তাহলে কর্মীদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। অস্তিত্ব রক্ষায় তারা হয়তো ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেবে।’
বিএনপির থিংক ট্যাংক হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ এ বিষয়ে সারাবাংলাকে বলেন, ‘গণহারে বহিষ্কার তৃণমূল বিএনপির স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপিকে আরও ভাবতে হবে।’
এরপর ৬ জুলাই স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপি সব নির্বাচনে অংশ নেবে। এরপর ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত রংপুর-৩ উপনির্বাচনে অংশ নেয় দলটি। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনটিতে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রিটা রহমান। আসন্ন চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে বিএনপি। ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পক্ষে যুক্তি দেখানো হয় এই বলে— গণতন্ত্র চর্চার ন্যূনতম সুযোগটুকু গ্রহণ করতে চায় বিএনপি। তবে রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, অস্তিত্ব রক্ষায় আগের সিদ্ধান্ত থেকে ইউটার্ন নেয় দলটি। নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেলে রাজনীতি থেকেও হারিয়ে যাবে বিএনপি।
এ প্রসঙ্গে ড. এমাজউদ্দিন আহমদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের মতো পরিবেশ দেশে নেই। কিন্তু বিএনপি যদি নির্বাচনবিমুখ হয়, তাহলে কর্মী-সমর্থকেরা হতাশ হয়ে পড়বে। সুতরাং আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিএনপি ঠিক কাজটিই করেছে।’
শপথ নিয়ে সংসদে যাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির আরেক সুহৃদ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০১৯ সালে বিএনপি যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যে শপথ নিয়ে সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা ছিল সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।’
আশাভঙ্গের বছর
নির্বাচন শেষ। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি পাকাপোক্ত। নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারের বৈধতাও দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তিনি মুক্তি পাবেন— এমনটিই ধারণা ছিল বিএনপির।
৩৭টি মামলার মধ্যে ৩৫টিতে জামিন। বাকি দু’টি মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি চলছিল। এরই মধ্যে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে গুঞ্জন ওঠে, প্যারোল নিয়ে দেশের বাইরে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাদে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে একে একে বিএনপির সবাই শপথ নিয়ে সংসদে যান। এতে করে গুঞ্জন আরও ডাল-পালা মেলতে থাকে। বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর আসতে থাকে, পর্দার আড়ালে সমঝোতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে খালেদা জিয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের নির্দেশ দেন তারেক রহমান। এতে করে সমঝোতার খবরটি আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্যারোল, সমঝোতা— কোনো কিছুই হয়নি। বিএনপির তিন শীর্ষ নেতা ও পরিবারের সদস্যরা প্যারোলের ব্যাপারে খালেদা জিয়াকে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রাজিন হননি তিনি। আর বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে দলীয় ফরমে সই আনতে গিয়ে খালেদা জিয়ার ধমক খেয়ে ফিরে আসেন তার একান্ত সচিব এ বি এম সাত্তার। সমঝোতা বা প্যারোল নয়, আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত হতে চান তিনি। জামিন তার প্রাপ্য।
চলতে থাকে আইনি লড়াই। তবে বছরের শেষ দিকে এসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ১২ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে আশা ভেঙে যায় বিএনপির।
ইতিহাস গড়েন মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হলেও শপথ নেননি তিনি। দল ও জিয়া পরিবারের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য দেখিয়ে শপথ গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সময়ের দাবি মেনে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে অংশ নিলেও, সংসদে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেননি তিনি।
কয়েকটি আলোচিত ঘটনা
গুরুতর অসুস্থ কাদেরের পাশে বিএনপি: গুরুতর অসুস্থ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ড. মঈন খান।
খালেদার সম্মানে বিএনপির ৩০ টাকার ইফতার: কারাবিধি অনুযায়ী একজন বন্দির ইফতারের জন্য বরাদ্দ ৩০ টাকা। কারাবন্দি খালেদা জিয়াকেও ৩০ টাকার ইফতার করতে হচ্ছে— এমন বিশ্বাস থেকে ২৮ মে রাজনীতিবিদদের জন্য ৩০ টাকার ইফতার আয়োজন করে বিএনপি। লেডিস ক্লাবে আয়োজিত ওই ইফতার মাহফিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল ও বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী অংশ নেন।
বিএনপি কার্যালয়ে ছাত্রদলের তালা: ১১ জুন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রদলের বয়স্ক নেতারা। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ায় বিক্ষোভ করেন তারা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ ঘটনায় ছাত্রদলের ১২ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
স্থায়ী কমিটিতে দুই নতুন মুখ: সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯ জুন সংবাদ সম্মেলনে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রুমিন ফারহানা চান পূর্বাচলের জমি: সংসদ ও সরকারকে অবৈধ বলে ‘গালি’ দিলেও সেই ‘অবৈধ’ সরকারের কাছেই জমি চান বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ৩ আগস্ট গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর কাছে ঢাকার পূর্বাচল আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠার প্লট চেয়ে আবেদন করেন তিনি। এতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশেষে আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
২৮ বছর পর সরাসরি ভোটে ছাত্রদলের নেতা নির্বাচন: প্রায় ২৮ বছর পর সরাসরি ভোটে ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ইকবাল হোসেন শ্যামল। ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার পর মির্জা আব্বাসের বাসায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টার দিকে মির্জা আব্বাস নিজেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
সাদেক হোসেন খোকার বিদায়: ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটন স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। ঢাকায় আনার পর মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানীর মরদেহে দলমত নির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষ শ্রদ্ধা জানায়।
মোরশেদ খানের পদত্যাগ: ৫ নভেম্বর বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদ থেকে সরে দাঁড়ান সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পদত্যাগ পত্রে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের সমালোচনা করেন তিনি।
হাইকোর্টের সামনে একঝলক আন্দোলন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে ২৬ নভেম্বর হাইকোর্টের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। পুলিশ বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়ে। কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর হয়। বহুদিন পর রাজপথে স্বরূপে দেখা যায় বিএনপিকে। এ ঘটনায় বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়।