সিরিয়ায় নতুন করে ২ লাখ ৩৫ হাজার বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৮
দুই সপ্তাহ ধরে চলমান রাশিয়া সমর্থিত সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে হায়াত তাহরির আল শামস বিদ্রোহী জঙ্গিদের সহিংসতায় সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব শহর ছেড়েছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার অধিবাসী। বাস্ত্যচ্যুত হয়ে তারা পার্শ্ববর্তী সারাকেব শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপি।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনের বরাতে এএফপি জানাচ্ছে, ডিসেম্বরের ১২ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে সংঘটিত সংঘাতের জেরে, ইদলিবের দক্ষিণাঞ্চলীয় মারিত আল নুমান প্রায় জনমানবহীন অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
এর আগে, ডিসেম্বরের শুরু থেকে রাশিয়া ও সিরিয়ার যৌথ মদদপুষ্ট কয়েকটি সশস্ত্রগ্রুপ ইদলিব অঞ্চলের তাহরির বিদ্রোহীদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। ডিসেম্বরের ১৯ তারিখে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকডজন শহর ও গ্রাম দখল করে নেয় রুশ-সিরিয় বাহিনী। স্থলপথের পাশাপাশি আকাশ পথেও বিদ্রোহীদের আক্রমণ করে তারা। সে সময় ২ লাখ ৩৫ হাজার শহরবাসীর বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি উভয়পক্ষে শতাধিক প্রাণহানি হয়।
প্রসঙ্গত, ওই ইদলিব অঞ্চল তাহরির বিদ্রোহীদের দখলে ছিল। সিরিয়ার বিভিন্নপ্রান্ত থেকে সংঘাতের জেরে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ইদলিবে এসে বসবাস শুরু করে। তাদের মধ্য থেকেই ২ লাখ ৩৫ হাজার নতুন করে বাস্তুচ্যুত হলেন। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পাশাপাশি তুরস্ক, রাশিয়া ও ফ্রান্সের সেনাবাহিনী ইদলিবে কর্মরত ছিল। এপ্রিলে তাহরির আল শামসের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি প্রস্তাব স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তুরস্ক, ফ্রান্স ও জাতিসংঘ মিশন ফ্রান্স ছেড়ে গেলেও রাশিয়া তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করেনি। বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য রাশিয়ার সেনাবাহিনী এবং সিরিয়া সরকারের মদদপুষ্ট বাহিনীকে দায়ি করা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।
ইতোমধ্যেই অস্ত্রবিরতির পরও রাশিয়ার সৈন্যদের সিরিয়ায় অবস্থান নিয়ে ফ্রান্স ও তুরস্ক প্রশ্ন তুলেছে।
উল্লেখ করা যায় যে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধকোটি মানুষ। সিরিয়ায় গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের ভন্ডুল করে সেনাশাসন জারি করার পর থেকে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
আল কায়েদা ইদলিব জাতিসংঘ বাস্তুচ্যুত সিরিয়া হায়াত তাহরির আক শামস