মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন, অনলাইনে কেনা যাবে বিমানের টিকিট
২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৪৫
ঢাকা: বাংলাদেশ বিমানে টিকিট ক্রয় করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপস’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি এই অ্যাপটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। অ্যাপটি উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করেন বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোকাব্বের হোসেন।
তার আগে, সকাল দশটা ২০ মিনিটের দিকে দেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অ্যাভিয়েশন খাতের স্বপ্নের থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। থার্ড টার্মিনাল ছাড়াও তিনি শুভ উদ্বোধন করবেন বোয়িং থেকে কেনা অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ ‘সোনারতরী’ ও ‘অচিন পাখি।’
বিমান সেবার বৃদ্ধির জন্য মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করার কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমরা যে অ্যাপটা উদ্বোধন করলাম, এখন আপনি অনলাইনে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় থেকে শুরু করে সবকিছুই করতে পারবেন। অর্থাৎ আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ব্যবস্থা যাত্রীদের সেবার জন্য করে দিচ্ছি।’
‘সারাবিশ্বের আছে আমরা কেন পারব না? বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। কাজেই এখানে সব ধরনের সুবিধাই তারা পাবে, সেটাই আমরা করে দিচ্ছি’ বলেও জানান তিনি।
বিমান সচিব মহিবুল হক বলেন, ‘বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে যাত্রী বিমানে যে কোনো গন্তব্যের টিকিট বুকিং করতে পারবেন এবং বিকাশ, রকেট বা যে কোনো ডেবিট কার্ড-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। একইভাবে সহযাত্রীদের টিকিটও ক্রয় করতে পারবেন।’
এ ছাড়াও এ অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীর স্ট্যাটাস জানতে পারবেন। এ ছাড়াও কিছুদিনের মধ্যেই এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে চেকিং করতে পারবেন, আসন নির্ধারণ করতে পারবেন এবং ই-ফান্ড ইস্যুও করতে পারবেন। সর্বোপরি এ অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করলে যাত্রী আগামী পুরো বছর ১০ শতাংশ ছাড়ে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়ুল মোক্তাদির চৌধুরী, বিমান পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল বারি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান, বিমানের এমডি মোকাব্বের হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্টদূত নাইকো ইতো জাপান সরকারের দাতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) হিতৈশী হিরারা।