‘রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে’
২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:২৬
ঢাকা: কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের আপাদত মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ নেই। তবে খুব দ্রুতই প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা না থাকায় রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবণা রয়েছে। যা বাংলাদেশকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই বাংলাদেশের উচিত এখই রোহিঙ্গা ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন।
ব্রাসেলসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ‘আ সাসটেইনেবল পলিসি ফর রোহিঙ্গা রিফিউজিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
‘রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তরের পরিবল্পনা থেকে সরে আসা প্রয়োজন’, মন্তব্য করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিক ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আপাতত প্রত্যাবাসনের কোনো পরিবেশ নেই। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, এই রোহিঙ্গারা আরও কয়েক বছর বাংলাদেশে অবস্থান করবে।’
এখনই প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা না থাকায় এবং এই ইস্যুতে বাংলাদেশের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা না থাকায় রোহিঙ্গাদের মাঝে উদ্বিগ্নতা বাড়বে। এই সুযোগে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা চালাবে। যা বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা হওয়ার এবং ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে বাংলাদেশ। এই সমস্যাকে যদি স্বল্পমেয়াদি সংকট ভাবা হয় এবং সেই হিসেবে শক্তভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়, তবে তার ফল ভয়াবহ হবে। সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কার্যক্রমে বাধা-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যা মোটেই ইতিবাচক পদক্ষেপ নয়। বরং এই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের উচিত দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা।
এদিকে, গত সপ্তাহের শেষ দিনে জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে জাতিসংঘকে বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তর বিষয়ে বৈশ্বিক সংস্থাটি ঢাকাকে সহযোগিতা না করলে, ঢাকাও সংস্থাটিকে কোনো সহযোগিতা করবে না।