‘দেশের মোট মৃত্যুর ৬৫ ভাগই অসংক্রামক রোগের কারণে’
২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:২৪
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশের মোট মৃত্যুর ৬৫ ভাগই হচ্ছে অসংক্রামক রোগের কারণে। অসংক্রামক রোগের মধ্যে মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নতুন ভবন উদ্বোধন ও ৫০০ শয্যায় বর্ধিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যানসার একটি ব্যায়বহুল রোগ। এ কারণে দেশের সাধারণ মানুষ এই রোগের চিকিৎসা করতেই পারে না। এ কারণেই বর্তমান সরকার ২০২০ সালেই সারাদেশের আট বিভাগে ১০০ শয্যার আটটি ক্যানসার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এখানে অনেক উন্নত নতুন আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন এই হাসপাতালে প্রায় ৫৫০ জন রোগী রেডিওথেরাপি এবং ২৭৫ জন রোগী কেমোথেরাপি পাচ্ছেন। অধিকাংশ ক্যানসার রোগীকে শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি মূল্যবান কেমোথেরাপির ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এটি ক্যানসার চিকিৎসায় দেশের সাধারণ মানুষের নানাবিধ সহায়তা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ নেতৃত্বে আছেন বলেন আমাদের দেশে আজ স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হচ্ছে। ক্যানসার ইনস্টিটিউট, বার্ন ইনস্টিটিউট, আই (চক্ষু) ইনস্টিটিউট, গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটসহ নানা ইনস্টিটিউট করেছেন শেখ হাসিনাই। দেশে ৩৫টি মেডিকেল কলেজ হয়েছে, আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক উন্নয়নের কারণে এখন আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর। এই দিকে আমরা ভারত পাকিস্তানের চাইতেও অনেক এগিয়ে গেছি। স্বাস্থ্যসেবাতেও আমরা অনেক এগিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে (ঢামেক) ৫ হাজার বেডে উন্নীত করার জন্য। আমরা সেই পরিকল্পনাতে কাজ করে যাচ্ছি।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলেই জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ৫০ শয্যার ক্যানসার হাসপাতালটি ৩০০ শয্যায় রূপান্তরিত হয়েছে। এখন হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হলো। খুব শিগগিরই দেশের একমাত্র ক্যানসার গবেষণার এই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ১০০০ বেডে রূপান্তরিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. মোয়াররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি ইকবাল আর্সেনাল, মহাসচিব আব্দুল আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।