চাকুরিচ্যুত হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে মালিককে খুন করে শাহিন: ডিবি
২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:১৩
ঢাকা: কয়েক বছর আগে চাকুরিচ্যুত হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ব্যবসায়ী তোবারক হোসেনকে (৭০) খুন করে তার দোকানের সাবেক কেয়ারটেকার শাহীন। তবে শাহীন নিজে নয়, ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে কাজটি করেছে। বর্তমানে সে পলাতক থাকলেও ভাড়াটে পাঁচ খুনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।’
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।
ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ২৫ ডিসেম্বর বড় দিনে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় ব্যবসায়ী তোবারক হোসেন (৭০) খুন হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার তোবারক শুধু একজন ব্যবসায়ী নয়, তিনি ভাণ্ডারি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। অর্থাৎ তার বেশ কিছু মুরিদ রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত গোয়েন্দা সদস্যরা মাঠে নেমে বিভিন্ন পর্যায়ে তারা তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে। তার ভিত্তিতে এ পর্যাপ্ত এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।’
আব্দুল বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা যে সমস্ত তথ্য দিয়েছে সে থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, মহাখালীর মামা প্লাজায় খুন হওয়া তোবারকের কয়েকটা দোকান রয়েছে। এসব দোকানে বেশ কয়েকবছর আগে শাহিন এবং শিহাব নামে দুজন কেয়ারটেকার ছিল। যারা এসব দোকান দেখাশোনা করত। একপর্যায়ে তোবারকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হওয়ায় শাহীনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য একজনকে দিয়ে মার্কেট পরিচালনা করত।
ডিবির কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, এ ঘটনায় শাহীন তখন থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় সে বিভিন্ন সময় তোবারকের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। এ সময় সোহেল নামের একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। যে ভাড়াটিয়া খুনিদের কাজ করে। আর তার কাছেই শাহীন সবকিছু শেয়ার করে। আবার এ সোহেল মূলত তোবারকের বিশ্বস্ত কেয়ারটেকার হিসেবে বাসায় কাজের ব্যবস্থা করে দেয় ইমন নামের একজন ভাড়াটিয়া খুনিকে। মূলত ইমন হাসান সেজে বাসায় কাজ পায়। কারণ হাসানের বাবা সাত আট বছর আগে তোবারকের বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করার সময় মারা যান। সে সুবাদে সোহেল তোবারকের বাসায় ইমনকে হাসান সেজে কাজ পাইয়ে দেয়। আর এভাবেই তারা প্রথমে তোবারকের বাসায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে। পরে তোবারকের বিপুল টাকার সন্ধান পেয়ে তারা তোবারককে খুন করে সেগুলো নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। আর সে হিসেবেই মূলত তোবারককে খুন করা হয়।
আব্দুল বাতেন বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত গোলাম রাব্বী, বাবুল প্রধান ওরফে বাবু, সোহেল প্রধান, ইমন ও আলামিন খন্দকারকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।’