সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন: গণসচেতনতা ও সমর্থন চেয়েছেন মোদি
৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৫২
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) ঘিরে ভারতব্যাপী চলমান আন্দোলনের মধ্যেই, আইনটির ব্যাপারে গণসচেতনতা ও সমর্থন চেয়ে টুইটার বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে #IndiaSupportsCAA হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ১২টায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে এই বার্তা দিয়েছেন তিনি। খবর এনডিটিভি।
ওই বার্তায় তিনি আরও জানিয়েছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) মাধ্যমে কারও নাগকরিত্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না বরং নির্যাতিত উদ্বাস্তু যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে ভারত সরকার।
#IndiaSupportsCAA because CAA is about giving citizenship to persecuted refugees & not about taking anyone’s citizenship away.
Check out this hashtag in Your Voice section of Volunteer module on NaMo App for content, graphics, videos & more. Share & show your support for CAA..
— narendramodi_in (@narendramodi_in) December 30, 2019
Do hear this lucid explanation of aspects relating to CAA and more by @SadhguruJV.
He provides historical context, brilliantly highlights our culture of brotherhood. He also calls out the misinformation by vested interest groups. #IndiaSupportsCAA https://t.co/97CW4EQZ7Z
— Narendra Modi (@narendramodi) December 30, 2019
এছাড়াও, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) ব্যাপারে গণসচেতনতা ও সমর্থন তৈরি করার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেছেন, নমো অ্যাপ থেকে সিএএ’র পক্ষে প্রচারের জন্য কন্টেন্টগুলো (গ্রাফিক, ভিডিও ও অন্যান্য) ডাউনলোড করে নিয়ে তারা ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
অন্য আরেকটি টুইটার হ্যান্ডেল ব্যবহার করে নরেন্দ্র মোদি ভারতের আধ্যাত্মিক নেতা যোগি বাসুদেবের (সাধগুরু) একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ওই ভিডিওতে বাসুদেব সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) পক্ষে ভারতীয়দের ভাতৃত্বের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের রাজ্যসভায় সিএএ পাস হয়। ওই আইনের মাধ্যমে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে নির্যাতনের মুখে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন ও পার্সি ধর্মের অনুসারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে উল্লেখ আছে। আইনটি পাস হোয়ার পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারত। এখন পর্যন্ত চলমান এই বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আটক হয়েছেন কয়েক হাজার। তবে, ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল ব্যবহার করে জানিয়েছে, কংগ্রেস কিছু আরবান নকশালের সাথে মিলে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য গণসচেতনতা ও সমর্থন জরুরি।
গণসচেতনতা টুইটার নরেন্দ্র মোদি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) সমর্থন