বিশ্বখানার মালিক যারা! (২ থেকে ১১)
১ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:৫৩
১১. ম্যাককোয়ার গ্রুপ শেয়ারহোল্ডারস: ৪.৪৮ মিলিয়ন হেক্টর
এটি অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি বৃহদাকায় ফার্মিং এন্টারপ্রাইজ। নাম প্যারাওয়ে প্যাস্টোরাল কোম্পানি। ভেড়া, গরু, মহিষ ও শস্যের ব্যবসা তাদের । দেশের বিভিন্ন অংশে এদের ভূ-সম্পত্তির পরিমান ৪’৪৮ মিলিয়ন হেক্টর। দেশটির ব্যাংকিং জায়ান্ট ম্যাককোয়ার গ্রুপ এই ফার্মের মালিক।
১০. গাই হ্যান্ডস ও অন্যান্য শেয়ারহোল্ডার
অস্ট্রেলিয়ার ব্যক্তিখাতে গরুর মাংস উৎপাদনকারী সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান কনসোলিডেটেড প্যাস্টোরাল কোম্পানির মালিকানায় ৩ লাখ ৮০ হাজার গবাদি রয়েছে। এর সাথে রয়েছে সাড়ে চার মিলিয়ন হেক্টর জমি। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়াতেও রয়েছে দুটি তৃণভূমি। কোম্পানিটির বড় মালিকানা যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারী গাই হ্যান্ডস-এর মালিকানাধীন ফার্মা ক্যাপিটাল ও অংশীদারদের হাতে।
০৯. উইলিয়ামস পরিবার: ৪.৬৬ মিলিয়ন হেক্টর
উইলিয়ামস পরিবারটির মালিকানায় রয়েছে বৃহদাকার গবাদি পশুর প্রতিষ্ঠান আনা ক্রিক স্টেশন। দক্ষিন অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৬ সালে কোম্পানিটির মালিকানা নেয় উইলিয়ামস পরিবার। এখানে তাদের রয়েছে ১.৫৭ মিলিয়ন হেক্টর জমি। যা ইসরাইলের চেয়ে সামান্য ছোট। এছাড়াও পরিবারটির মালিকানায় রয়েছে আরও সাতটি ক্যাটল স্টেশন। এসবগুলো মিলিয়ে তাদের ভূ-সম্পত্তি ৪.৬৬ মিলিয়ন হেক্টর।
০৮. ম্যাকলাকলান পরিবার: ৪.৯ মিলিয়ন হেক্টর
অপর একটি অস্ট্রেলীয় ফার্মিং ব্যবসার নাম জামবাক প্যাস্টোরাল কোম্পানি। ১৮৮৮ সালে এইচ.পি. ম্যাকলাকলান এর প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে উত্তরাধিকারীদের হাতে পরিচালিত হচ্ছে এই ফার্ম। বর্তমানে তাদের মালিকানায় ৪.৯ মিলিয়ন হেক্টর জমি। এছাড়া তারা দেশটির প্রধান উল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
০৭. নর্থ অস্ট্রেলিয়ান প্যাস্টোরল কোম্পানি: ৬.১ মিলিয়ন হেক্টর
১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি-মালিকানাধীন নর্থ অস্ট্রেলিয়ান প্যাস্টোরাল কম্পানি দেশটির সর্ববৃহৎ ক্যাটল কোম্পানিগুলোর একটি। কোম্পানিটি সরাসরি ৬.১ মিলিয়ন হেক্টর ভূ-সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করে। কুইন্সল্যান্ড ও নর্দার্ন টেরিটরিতে এই জমির মধ্যে আলেক্সাজান্দ্রিয়াতে রয়েছে ১.৬ মিলিয়ন হেক্টরের একটি একক ফার্ম।
৬. জো লুইস ও অন্যন্যা স্টেকহোল্ডার: ৭ মিলিয়ন হেক্টর
১৮২৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান এগ্রিকালচারাল কোম্পানিটি গঠিত হয়। এটি দেশটির সবচেয়ে পুরাতন ফার্ম। এখন সেটির বেশিরভাগ অংশিদারীত্ব ব্রিটিশ টাইকুন জো লুইসের হাতে। কোম্পানিটি এখন ৭ মিলিয়ন হেক্টর জমির মালিক। কুইন্সল্যান্ড ও নর্দার্ন টেরিটরির এই জমির মোট এলাকা কমবেশি আয়ারল্যান্ডের সমান।
৫. ঝংডিং ডেইরি ফার্মিং ও সেভারনি বার শেয়ারহোল্ডারস: ৯.১ মিলিয়ন হেক্টর
বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ এই ফার্মটির নাম মুদানজিয়াং সিটি মেগা ফার্ম। যার আয়তন ৯.১ মিলিয়ন হেক্টর। চীনের এই ফার্মটির যৌথ মালিকানায় রয়েছে চীনের ঝংডিং ডেইরি ফার্মিং এবং রাশিয়ার সেভারনি বার। ডেইরি ফার্মটির মোট আয়তন পর্তুগালের সমান। রাশান মার্কেটে তারা দুগ্ধজাত পণ্য ও মাংস সরবরাহ করে। এদের রয়েছে এক লাখ গরু। যা থেকে বছরে ৮০০ মিলিয়ন লিটার দুধ পাওয়া যায়।
৪. গিনা রিনেহার্ট: ১২ মিলিয়ন হেক্টর
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ধনী এই গিনা রিনেহার্ট দেশটির ব্যক্তি মালিকানাধিন ভূ-সম্পত্তি অর্জনেও সবচেয়ে এগিয়ে। মাইনিং ম্যাগনেট খ্যাত গিনা রিনেহার্ট ১৪ বিলিয়ন ডলারের ভাগ্য গড়েছেন। চীনের সাংহাই ক্রেড প্যাস্টোরালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এস. কিডম্যান অ্যান্ড কোং এর বড় শেয়ার কিনে নিয়েছেন।
৩. নুনাভুতের ইনুইত জনগোষ্ঠী: ৩৫ মিলিয়ন হেক্টর:
কানাডার মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পঞ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে ৩৫ মিলিয়ন হেক্টর জমির মালিক ইনুয়িত জনগোষ্ঠী। ১৯৯৩ সাল নুনাভুত জমি অধিকার চুক্তির মাধ্যমে এই বিপুল এলাকা তাদের হাতে তুলে দেয় কানাডীয় সরকার। সেই থেকে এর সকল মালিকানা তাদের।
২. ক্যাথলিক চার্চ: ৭১.৬ মিলিয়ন হেক্টর
ক্যাথলিক চার্চ ৭১.৬ মিলিয়ন হেক্টর এলাকার একক মালিকানায় রয়েছে। এত বড় ভূমিঅঞ্চল এককভাবে ফ্রান্সের চেয়ে বড় এবং বলাই বাহুল্য এই পবিত্রভূমি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূ-সম্পত্তি। জার্মানি থেকে শুরু করে ভারত পর্যন্ত দেশে দেশে তাদের এই সম্পত্তি রয়েছে।