বাংলাদেশে আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সফল হবে না: তথ্যমন্ত্রী
১ জানুয়ারি ২০২০ ২১:৫১
ঢাকা: বিএনপি নেতা সেলিমা রহমানের এক মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সফল হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি নানা পথে বিশ্বাস করে। কারণ তারা রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সেলিমা রহমানের বক্তব্য সেই ষড়যন্ত্রেরই ইঙ্গিত ছাড়া অন্য কিছু নয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে অতীতের মতো আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সফল হবে না। এখন সরকারকে বিদায় দেওয়ার একটিই পথ— নির্বাচন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন। নতুন তথ্যসচিব কামরুন নাহার ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতা সেলিমা রহমান বলেছিলেন, ‘হঠাৎ করেই সরকারের পতন হবে।’ এ মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পতন হবে— সেলিমা রহমানের এই কথা তো আমরা গত ১১ বছর ধরেই শুনে আসছি। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের একটিই পথ, সেটি মাধ্যমে। যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন সেই নির্বাচনে যদি জনগণ বর্তমান সরকারকে, আমাদের দলকে সমর্থন না জানায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা সরকারে থাকব না। এছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।’
বিরোধী দল সব ধরনের অধিকার পাচ্ছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি। এখানে বিরোধী দল সবসময় তাদের মতপ্রকাশ করছে। প্রতিবাদের আইনগত ও সাংবিধানিক যে অধিকার, তা সবসময় প্রয়োগ করছে। এখানে কাউকে অধিকার দেওয়ার বিষয় নেই। মাল্টিপার্টি ডেমোক্রেসিতে আমরা বিশ্বাস করি। সেই অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তাই এখানে বিরোধী দল সংসদে, সংসদের বাইরে সবসময় তাদের মতপ্রকাশ করছে। সুতরাং অধিকার দেওয়া না দেওয়ার প্রশ্ন অবান্তর।’
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজ বছরের প্রথম দিনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্যই আপনাদের ডেকেছি। প্রায় একবছর আমি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছি। অনেক কাজ আমরা সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। অনেকগুলো কাজ আমরা হাতেও নিয়েছি। ভারতে বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখানোর প্রচেষ্টা চলছিল কয়েক যুগ আগে থেকে। আমরা গত বছর সেটিও করতে পেরেছি। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ক্রম নির্ধারণের জন্য বারংবার তাগাদা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন সেটা হয়েছে। এসময় তার মন্ত্রণালয়ের গত একবছরের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি।