প্রক্টরের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবিতে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি
২ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:০৭
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার বিচার চেয় এবং তার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে প্রক্টরের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে গিয়ে ছাত্র ঐক্যের ১২টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ স্মারকলিপি পেশ করেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। এ সময় স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান স্বতন্ত্র জোটের প্রতিনিধি মেহেদি হাসান।
ছাত্র ঐক্যের চার দফার মধ্যে আছে, নূরুল হক নূরসহ সকল শিক্ষার্থীর ওপর হামলাকারীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও আইনানুগ বিচার, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার দায়ে প্রক্টরের অপসারণ, ডাকসুতে হামলায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রশাসনকে বহন ও আহতদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হলগুলোতে দখলদারিত্ব, গেস্টরুম-গণরুম নির্যাতন বন্ধ করা।
এছাড়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছি, ডাকসু ভবনে নৃশংস হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ আহত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করা হয়েছে, যার বিরুদ্ধেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো বক্তব্য আমরা পাইনি। উপরন্ত আহতদেরকেই দোষারোপ করার চেষ্টা করা হয়েছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অনাকাঙ্ক্ষিত।’
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত নিরাপদ গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার জন্য ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’-এর পক্ষ থেকে এ চার দফা আমাদের সুস্পষ্ট দাবি। আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে এ চার দফা দাবি মেনে না নেওয়া হলে বৃহৎ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবো।’
এ সময় প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরি জয় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ ঘটনায় দায় এড়াতে পারেন না। তিনি দ্বায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে তার অপসারণ দাবি করছি।’
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিক অনিক, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সংসদের সভাপতি ফাহাদ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সোহেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিপুল চাকমাসহ অনেকে।