হকার নেতাকে খুনের পর নিজের মৃত্যু ‘বন্দুকযুদ্ধে’
৩ জানুয়ারি ২০২০ ১১:১১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: তিনদিন আগে হকার সমিতির নেতা খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামি এমদাদ পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছিল।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার মাঝেরঘোনা এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার শেরশাহ মিনার মোড়ে পলিটেকনিক কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম মহিউদ্দিন ও স্থানীয় কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর অনুসারীদের দু’গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে স্থানীয় জালালাবাদ হকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রিপনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও একজন।
রিপন কাউন্সিলর বাবুর অনুসারী এবং কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত মো. এমদাদ (৩৭) সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারি কমিশনার পরিত্রাণ তালুকদার সারাবাংলাকে জানান, রিপন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি এমদাদ। সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত দৃশ্যে ঘটনার সময় এমদাদকে মারামারিতে অংশ নিতে দেখা গেছে।
পরিত্রাণের দাবি, গ্রেফতারের পর এমদাদকে নিয়ে মাঝেরঘোনা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগিরা তাকে ছিনিয়ে নিতে হামলা করে। পুলিশের উপর হামলা করে আসামি এবং অস্ত্র-গোলাবারুদ ছিনিয়ে নেওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ শর্টগানের কার্তুজ ফায়ার করে এবং তারই এক পর্যায়ে এমদাদের সহযোগীদের ছোঁড়া গুলিতে তার মৃত্যু হয়। সেখান থেকে একটি এলজি ও কার্তুজ এবং ছুরি-চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিনের আশ্রয়ে থেকে এমদাদ ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, পোশাক কারখানা থেকে চাঁদাবাজি, নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় ভাসমান দোকান থেকে টাকা আদায়, শেরশাহ এলাকায় ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল। গত বছরের মাঝামাঝিতে বায়েজিদের বাংলাবাজার এলাকায় হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে এমদাদ ও তার অনুসারীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট।