চাঁদপুরে দোকান কর্মচারী হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:০২
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
চাঁদপুর : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মো. মাসুদ রানা (২৩) নামে এক দোকান কর্মচারীকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া গ্রামের মো. আ. রহিম বেপারীর ছেলে মো. ইয়ামিন বেপারী (২৪), পশ্চিম লুধুয়া গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে মো. আবদুল খালেক মোল্লা (৩২), একই গ্রামের মো. আ. বারেক বেপারীর ছেলে মো. ফারুক ওরফে নবী (২৫), দক্ষিণ লুধুয়া গ্রামের আবুল কাসেম মাঝির ছেলে মো. সেলিম মাঝি (২২) এবং পশ্চিম লুধুয়া গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমান মুন্সীর ছেলে মো. আলী মুন্সী (২৮)।
মামলার রায় ঘোষণাকালে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. ফারুক ওরফে নবী এবং মো. আলী মুন্সী উপস্থিত ছিলেন। তবে অপর তিনজন পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া রায়ে অপর ৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। এরা হলেন পশ্চিম লুধুয়া গ্রামের মৃত আ. সোবহান হাওলাদারের ছেলে মো. কামাল হাওলাদার (৩০), একই গ্রামের মো. বাহর আলী মোল্লার ছেলে মো. কেরামত আলী মোল্লা (৫৫) ও অপর ছেলে মো. চেরাগ আলী মোল্লাকে (৫২)।
মামলার এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পিপি সায়েদুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালের ৫ অক্টোবর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া গ্রামে ঈদের আগের দিন রাতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাসুদ রানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ গোয়ালভাওর ডোবায় কচুরিপানায় চাপা দিয়ে রাখা হয়। ১৫ অক্টোবর সেখান থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মাসুদ রানার পিতা মো. রবিউল দর্জি বাদী হয়ে ২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর মতলব উত্তর থানায় জিডি করেন। এরপর পুলিশ ১৫ অক্টোবর গোয়ালভাওর ডোবায় কচুরিপানার নিচ থেকে মাসুদ রানার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মাসুদ রানার মো. রবিউল দর্জি বাদী হয়ে ১৫ অক্টোবর মতলব উত্তর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০৯ সালের ৩০ মে এসআই আকরাম হোসেন মজুমদার ও আ. ওহাব আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং ৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলার বাদী রবিউল দর্জি বলেন, আটজন আসামিই পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। অথচ তিনজন বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব।
সারাবাংলা/টিএম/একে