Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৭২ বছরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, পুনর্মিলনীতে থাকছেন শেখ হাসিনা


৩ জানুয়ারি ২০২০ ২২:৩০

ঢাকা: শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সকল বাধা পেরিয়ে গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭২তম বছরে পদার্পণ করবে শনিবার। প্রতিষ্ঠার গৌরবময় দিনটিতে সর্বময় প্রাণবন্ত রাখতে সংগঠনটি তার সকল সহযোদ্ধার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে আগামী ৪জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছে।

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথিসহ মূল মঞ্চে বসবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তবে এরইমধ্যে যারা ছাত্রলীগ করা শেষে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে দলছুট হয়েছেন তাদের ঠাঁই হবে না মূল মঞ্চে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর তিনটায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সংগঠনের দৃপ্ত পদচারণার তারুণ্যের উচ্ছ্বাসকে আরও প্রাণবন্ত করে শিক্ষার মশাল জ্বালিয়ে শান্তির পতাকা উড়িয়ে প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করতে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন সাংগঠনিক অভিভাবক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনটির কেন্দ্রীয়সহ সারাদেশের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুনর্মিলনীতে অংশ নেবেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী’২০২০ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আল নাহিয়ান খান জয় এবং সভা পরিচালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) লেখক ভট্টাচার্য।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও ৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি-৩২নম্বরে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটার পর্ব শেষে সকাল ১১টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবশে শুরু করবে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরের দিন ৫ জানুয়ারি রক্তদান কর্মসূচি, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণসক বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে সংগঠনটি।

এদিকে এবারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনীতে আমন্ত্রণ পাননি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রলীগের সাবেক দুই শীর্ষ নেতা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আল নাহিয়ান খান জয় সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। পুনর্মিলনীতে আমাদের এই সংগঠনের সাবেক নেতাদের পাশাপাশি বর্তমান নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। আমন্ত্রণ জানানো হবে সারাদেশ থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। এবারের পুনর্মিলনী কে আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই। এজন্য আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামীকাল একটা সফল পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারব।’

বাংলা, বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধীকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এইদিনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় উপ-মহাদেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭১ বছরের ইতিহাস -জাতির মুক্তির স্বপ্ন, সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। কারণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে । ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনে, ’৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগ গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে। ’৬৬’র ৬-দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে পড়ে। ৬-দফাকে বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। এছাড়াও ’৬৮-তে শিক্ষা আন্দোলন এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুথানসহ ’৭০-এর নির্বাচন ও ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগ গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে।

৭১ বছরের পথচলায় আওয়ামী রাজনীতির বাইরে যারা

দীর্ঘ ৭১ বছরের পথপরিক্রমায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের অনেকেই পরবর্তীতে দলছুট হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে চলে গেছেন। অনেকেই আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী। স্বাধীনতার পর নানা মান-অভিমান নিয়ে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেন। নূরে আলম সিদ্দিকী বর্তমানে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

নূরে আলম সিদ্দিকীর সময়ে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শাজাহান সিরাজ। দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৬ মাসের মাথায় ছাত্রলীগে ভাঙন দেখা দেয়। ‘মুজিববাদী’ হিসেবে পরচিতি অংশ নিয়ে থেকে যান নূরে আলম সিদ্দিকী। আর শাজাহান সিরাজের অংশটি ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রী’পন্থী হিসেবে পরিচিত হয়। এই অংশটি পরবর্তী সময়ে জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ নামে আত্মপ্রকাশ করে। শাজাহান সিরাজ জাসদের টিকিটে ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর যোগ দেন বিএনপিতে। ৮ম সংসদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতির পদে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শেখ শহীদুল ইসলাম। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও গণপূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আর বর্তমানে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিবের পদে আছেন। শেখ শহীদুল ইসলামের সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এম এ রশিদ। বর্তমানে তিনি প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত।

১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মনিরুল হক চৌধুরী। পরবর্তীতে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার সময়ে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফিউল আলম প্রধান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে তিনি পদ ও দল থেকে বহিষ্কৃত হলে পরে বিএনপি জোটের অন্তর্ভুক্ত জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি থাকা অবস্থায় মারা যান।

১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং একইসঙ্গে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ওবায়দুল কাদেরের সময় বাহালুল মজনুন চুন্নু সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনে আওয়ামী প্যানেলের নির্বাচনী দেখভালের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন।

১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি হন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ নিয়েই বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করার পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের নবনির্বাচিত কমিটিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সময়ে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল মান্নান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ায় সারিয়াকান্দি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মান্নানের মেয়াদকালে সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এছাড়াও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও নবম সংসদে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। মুক্তিযুদ্ধের পর ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে তিনিই প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন। এর আগে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের সময়ে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা আব্দুর রহমান। তিনি নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসাবে আওয়ামী রাজনীতির দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন হাবিবুর রহমান হাবিব। পরে ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে যোগ দেন বিএনপিতে। এ সময় সাধারণ সম্পাদক থাকা অসীম কুমার উকিল বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং নেত্রকোনা থেকে সরকার দলীয় এমপি।

১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে থাকা মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী বর্তমানে অনেকটাই নীরব রয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই। তার সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইকবালুর রহীম। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর সদর থেকে সংসদ সদস্য হয়ে বর্তমানে জাতীয় সংসদের হুইপ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী হিসাবে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীসভায় আছেন।

শামীমের সভাপতি থাকাকালীন সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন ইসহাক আলী পান্না। তিনিও রাজনীতির কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন বাহাদুর বেপারি। তিনি রাজনীতির কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই। বাহাদুর বেপারির সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অজয় কর খোকন। দশম সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েও পাননি তিনি। পরে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ালে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়। তিনিও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই।

২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন লিয়াকত শিকদার। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন ব্যবসায়ী।তিনিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই। লিয়াকত শিকদারের সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি নবম ও দশম সংসদের নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন মাহমুদ হাসান রিপন। একই সময়ে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন। তারা দুজনে এখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেননি।

২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। বদিউজ্জামান সোহাগ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও এখনো আওয়ামী লীগের দায়িত্বে আসতে পারেননি। সিদ্দিকী নাজমুল আলম দীর্ঘদিন লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সাইফুর রহমান সোহাগ এবং এস এম জাকির হোসাইন।

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর