ডাক্তারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত, চিকিৎসা বন্ধ রাখল বিএমএ
৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:০৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ জানাতে চট্টগ্রামের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক ঘণ্টা চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতির কারণে জেলা এবং মহানগরে হাজারো রোগী এক ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া শাখা দিনভর কর্মবিরতি পালন করেছে। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে স্থানীয়ভাবে চট্টগ্রামেও বিএমএ এক ঘণ্টার প্রতীকী কর্মবিরতি ডাক দেয়। তবে চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের আর কোনো জেলায় এই কর্মসূচি ছিল না বলে জানিয়েছেন বিএমএ নেতারা।
বিএমএ’র স্থানীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত মেনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালসহ মহানগরের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এবং ১৬ উপজেলায় সরকারি স্বাস্থকেন্দ্রে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে। বড় হাসপাতালগুলোতে এসময় জরুরি বিভাগ আংশিক চালু থাকলেও বর্হিবিভাগে এবং ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীরা কোনো চিকিৎসা পাননি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘একঘণ্টা চিকিৎসা বন্ধ ছিল। জরুরি বিভাগ চালু ছিল। বড় কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের ইমার্জেন্সি টিম আছে। তাদের অ্যালার্ট করা হয়েছিল। একঘণ্টা পর ডাক্তাররা আবার সবাই ওয়ার্ডে ফিরে গেছেন।’
বিএমএ, চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া শাখা বিএমএ’র সঙ্গে আমরা সংহতি জানিয়েছি। একঘণ্টা কাজ বন্ধ রেখেছিলাম সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অন্য কোনো জেলায় বিএমএ কর্মসূচি দিয়েছে কি না আমার জানা নেই। তবে আমরা স্থানীয়ভাবে এই কর্মসূচি দিয়েছিলাম।’
গত ১৩ নভেম্বর ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া সদরের খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক শিক্ষিকার মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় গত ১ জানুয়ারি তিন চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানো হয়। এরা হলেন— হাসপাতালের পরিচালক ডিউক চৌধুরী, অরুনেশ্বর পাল অভি ও শাহাদাত হোসেন রাসেল।