কাউন্সিলর প্রার্থী গ্রেফতার, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ ইশরাকের
৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৫২
ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের হুমকি, গাায়েবি মামলায় গ্রেফতার এবং হয়রানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব ও রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন-এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। একইসঙ্গে তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন।
লিখিত অভিযোগে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘গত ২ জানুয়ারি আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাছাই প্রক্রিয়া শেষে বিএনপি মনোনীত ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী তাজউদ্দিন আহমেদ তাজুকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণার পর নিজ এলাকায় যাওয়ার সময় গোপীবাগে (দেশবন্ধু হোটেলের সামনে থেকে) সাদা পোষাকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করে। এ খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। তখনই আমি থানায় গিয়ে তার গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, তাজুকে আগের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অথচ তাজু কিছুদিন আগে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বাইরে এসেছেন।’
গ্রেফতারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে ইশরাক বলেন, ‘তাকে তখন কেন গ্রেফতার দেখানো হয়নি? এভাবে অজানা (গায়েবি) মামলার গ্রেফতারি পরওয়ানা নিয়ে আমরা চিন্তিত। এছাড়া ৪৪ নং ওয়ার্ডের বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সাহেদ মন্টুকে একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইমন ও তার ভাই কাইয়ুমের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোরসহ নানা রকম হুমকি ধমকি ও ভয়-ভীতি প্রদান করেন।’
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে অতি উৎসাহী আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য কর্তৃক বিএনপি দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে বিএনপি মনোনীত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে হুমকি ও গ্রেফতার করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা ও দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিয়ে আতংক সৃষ্টিকরে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যহত করার পায়তারা করছে।’
এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি আবেদন জানিয়ে বলা হয়, প্রচারে নামার আগেই এ ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি ও বিনা কারণে গ্রেফতার করা হলে সুষ্ঠু ও সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছি। শিগগিরই গ্রেফতার হওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীর মুক্তি ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান।