চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব
৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:২৪
ঢাকা: আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।আগামী ২৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা কেন উচ্ছেদ করা হয়নি আদালতে হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। একই সঙ্গে আগামী ২৬ জানুয়ারির আগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি জানান, এর আগে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে জেলা প্রশাসক থেকে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পরবর্তীতে কিছু অবৈধ স্থাপনা বন্দর এলাকার মধ্যে থাকায় সেটি আর উচ্ছেদ করা হয়নি। পরে আদালতে ফের আবেদন করা হলে আদালতের নির্দেশে আংশিক উচ্ছেদ করা হয়। এরপর আবার আবেদন করা হলে আদালত বন্দর কর্তৃপক্ষকে তিন মাস সময় দেন। তিন মাস সময় পার হয়ে গেলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ফের সময় আবেদন করায় বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন আদালত।
এ সময় আদালত বলেছেন, ইদানিংকালে দেখা যায়,অনেক কর্মকর্তারাই আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে অনীহা দেখাচ্ছেন।
চলতি বছরের ৯ এপ্রিল কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেন আদালত।
২০১০ সালে গণমাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবরযুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করে।
ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট আদালত কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা সরানোর পাশাপাশি রায়ে ১১ দফা নির্দেশনা দেন।
এ রায়ের অনুলিপি বিবাদীদের কাছে পাঠানো হলেও সংশ্নিষ্টরা তা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে গত বছর ২৫ জুন সংশ্নিষ্টদের আইনি নোটিশও পাঠানো হয়। কিন্তু বিবাদীদের কাছ থেকে কোনো জবাব না পেয়ে তাদের আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি শেষে গত বছর ৩ জুলাই আদালত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। এরপরই জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।