সোলাইমানির মরদেহ আহভাজে, রাজপথে শোকস্তব্ধ লাখো ইরানি
৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:৫১
ইরানের প্রভাবশালী সামরিক নেতা জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মরদেহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের শহর আহভাজে নেওয়া হয়েছে। কালো পোশাক ও কালো পতাকা হাতে শোকে মুহ্যমান লাখো ইরানি শহরের রাজপথে জড়ো হয়েছেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সোমবার (৬ জানুয়ারি) সোলাইমানির কফিন নেওয়া হবে ইরানের রাজধানী তেহরানে। মঙ্গলবার দক্ষিণপূর্বের কারমানে নিজ শহরে কাসেম সোলাইমানিকে সমাহিত করা হতে পারে। খবর আল-জাজিরার।
মার্কিন মিসাইল হামলায় সোলাইমানিকে হত্যার দুদিন পর, এখনো ক্ষোভ বিরাজ করছে ইরানিদের মধ্যে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নারী ও পুরুষরা ধর্মীয় স্লোগান তুলতে তুলতে শোকপ্রকাশ করছেন। ইরানের টিভি-রেডিও ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যম ক্ষমতাধর এই সামরিক কর্মকর্তাকে ‘শহীদ’ উপাধি দিচ্ছি।
আহভাজ থেকে কাসেম সোলাইমানির মরদেহ নেওয়া হতে পারে মাসহাদে। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার লাশ নেওয়া হবে তেহরান ও কুম শহরে। ইরানি কর্তৃপক্ষ এরপর সোলাইমানিকে তার নিজ শহর কারমানে সমাহিত করার কথা ভাবছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদক দোরসা জাব্বারি জানান, সোলাইমানি ইরানিদের কাছে খুবই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে গোটাদেশ শোকস্তব্ধ।
শুধু শোক নয়। ইরানিদের মধ্যে রাগ-হতাশাও রয়েছে। সরকার ও সেনারা এই হত্যার উপযুক্ত জবাব দিবে তারা তাই চায় বলে জানান জাব্বারি।
এর আগে শুক্রবার বাগদাদ এয়ারপোর্ট এলাকায় ড্রোন থেকে গাড়িতে মিসাইল ছুড়ে মার্কিন সেনারা হত্যা করে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস্ ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি, ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসসহ অন্তত ৮ জনকে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি এই মিশনের নির্দেশ দেন। হোয়াইট হাউজ কাসেম সোলাইমানিকে সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করে। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ‘যুদ্ধাবস্থা’ বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন:-
ইরাকে আবারও হামলা যুক্তরাষ্ট্রের, যাচ্ছে ৩ হাজার সেনা
হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের ইরাক ছাড়ার নির্দেশ
রাশিয়ার ‘সংহতি’, চীনের ‘সংযম’, তবে ইরান চায় ‘প্রতিশোধ’
যুদ্ধের আশঙ্কা ইরাকের, কুদস্ ফোর্সের নতুন কমান্ডার ইসমাইল কোয়ানি
সোলাইমানি হত্যা: ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ইরান
যুদ্ধ শুরু নয়, থামাতেই সোলাইমানিকে হত্যা: ট্রাম্প
ইরাক ইরান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ডোনাল্ড ট্রাম্প মিসাইল হমালা মিসাইল হামলা যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ