শেখ হাসিনা সেতু রক্ষায় হাইকোর্টের রুল
৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৫০
ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও কুমিল্লার হোমনা উপজেলার তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত দেশের প্রথম ওয়াই আকৃতির শেখ হাসিনা সেতু রক্ষায় বিবাদীদের নিস্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেতুর নীচ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
ঝুঁকিতে ‘শেখ হাসিনা সেতু’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক ও সেতু সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক, বাঞ্ছারামপুর থানার নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সাইদুল ইসলাম নামে এক ঠিকাদার সেতুর নীচ থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে সেতুটি ঝুকির মধ্যে পড়ছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও কুমিল্লার হোমনা উপজেলার তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত দেশের প্রথম ওয়াই আকৃতির শেখ হাসিনা সেতুর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্বাবধানে ২০১১ সালের ১৬ জুন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৭৭১ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং আট দশমিক ১০ মিটার প্রস্থের সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়। সেতুটিতে ২৫টি পিলার, ২৪টি স্প্যান দৃষ্টিনন্দন রয়েছে। এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তিতাস নদীর ওপর এ সেতু চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবেও কুমিল্লা দিয়ে তা ব্যবহৃত হবে বলে জানায় এলজিইডি।