Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পলাতক ৪ আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ


৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৫২

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পলাতক চার আসামিকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর পলাতক এ চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।

চার্জশিটভুক্ত পলাতক চার আসামি হলেন— মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। গত ১৮ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চার্জশিট আমলে নিয়ে পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। বাকি ছয় জনের নাম এজাহারে ছিল না, তদন্তে তাদের নাম উঠে আসে। ২৫ আসামির মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৬ জন ও এজাহার বহির্ভূত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন— মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের গত ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, পাশাপাশি মোবাইলে তার মেসেঞ্জার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করেন। একপর্যায়ে তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। পরে আবরার নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে সিঁড়িতে ফেলে রেখে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বেধড়ক মারধরে মৃত্যু হয় আবরারের।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থাকায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

আদালতে হাজির আবরার হত্যা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পলাতক ৪ আসামি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর