Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লু’র অস্তিত্ব নেই: আইইডিসিআর


৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:৩১

ঢাকা: জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লু’র অস্তিত্ব নেই। এখন যে অসুখ হচ্ছে তা একেবারেই সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা। এমনকি সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মারা যাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি সোয়াইন ফ্লুতে মারা যাননি।

রোববার (৫ জানুয়ারি) আইইডিসিআরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এইচ-১ এন-১’কে আগে সোয়াইন ফ্লু বলা হলেও এখন আর এটাকে সোয়াইন ফ্লু বলা ঠিক নয়। ২০০৯ সালে এর মহামারীর কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে একটি অ্যালার্ম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১০ সালের পরে এই ভাইরাস আর মহামারী নয়। বিশ্বের সব দেশেই এটা এখন সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবে শনাক্ত এবং এর সঙ্গে সোয়াইন ফ্লুর কোনো সর্ম্পক নেই। এই মুহূর্তে আমেরিকা ও ইউরোপে এইচ-১ এন-১ রয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সেখানে তারা একে কমন ফ্লু বলছে।’

তিনি বলেন, ‘এইচ-১ এন-১ হচ্ছে সিজনাল (মৌসুমি) ইনফ্লুয়েঞ্জা। এতে ভয়ের কিছু নেই। সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সেগুলোকেই বলা হয় যেগুলো কমন ফ্লু। সোয়াইন ফ্লু শব্দটি আমরা পরিহার করব। এই শব্দ পরিহার করা খুব জরুরি। তবে এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে সতর্কতা নিতে হবে। কারণ, তাদের হাঁচি-কাশি থেকে অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ইনফ্লুয়েঞ্জা আমাদের দেশে কমন। এটি সারাবছরই থাকতে পারে। তবে সেটা কিছুটা বেড়ে যায় এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে। এখন যদি তার দুয়েকটি কেস পাওয়া যায়, তাহলে তাকে কোনোভাবেই বড় ধরনের আশঙ্কার কারণ তৈরি হয়েছে বলা যাবে না। এটা হঠাৎ করে বা নতুন করে কিছু হয়ে যাওয়ার মতো নয়। তবে শঙ্কার জায়গা হচ্ছে, হাইরিস্ক জনগোষ্ঠীর জন্য। ফুসফুসের সমস্যা, অ্যাজমা-শ্বাসকষ্ট, ব্রংকিউলাইটিস, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী হার্ট ও কিডনির রোগী, এইচআইভি এইডস, শিশু, গর্ভবতী নারী এবং ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের বলা হয় হাইরিস্ক জনগোষ্ঠী। সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন ও পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সতর্ক হলেই এ রোগের প্রতিরোধ সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি সোয়াইন ফ্লুতে মারা যাননি জানিয়ে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘তিনি শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় মারা গেছেন। বিএসএমএমইউ থেকে জানতে পেরেছি, তিনি আগে থেকেই অ্যাজমায় আক্রান্ত ছিলেন। এইচ-১ এন-১ পজিটিভ হওয়ার পর সেটা জটিল হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘সোয়াইন ফ্লু নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য এর একটি প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা এবং এটা নিয়ে যাতে কোনো আতঙ্ক সৃষ্টি না হয়, তার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখন তার পরীক্ষা আইইডিসিআর করেছে এবং তারাই এর রিপোর্ট দিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আর উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।

আইইডিসিআর টপ নিউজ সোয়াইন ফ্লু সোয়াইন ফ্লু’র

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর