প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে ‘হত্যায় অংশ নেওয়া’ যুবক গ্রেফতার
৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:৩৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ভাইকে না পেয়ে বোনকে গুলি করে খুনের ঘটনার আট মাসের মাথায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সময় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ হওয়া দৃশ্যে ওই যুবককে প্রকাশ্যে কিরিচ হাতে এগিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে নগরীর চান্দগাঁও থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন। গ্রেফতার যুবকের নাম মো. মামুন (২৪)।
২০১৯ সালের ১১ মে রাত ১০টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার বজ্রঘোনা মদিনা মসজিদ এলাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা বুবলী আক্তার (২৮) নামে এক নারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। রাতেই বুবলীর বাবা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের ৬ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়।
ওসি নেজাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পরপরই মামুন পালিয়ে পাবনা চলে গিয়েছিল। প্রায় আটমাস পর গত শনিবার সে চট্টগ্রাম নগরীতে আসে। ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চান্দগাঁও এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত শাহ আলমের সঙ্গে বুবলীর খালাতো ভাই হাসানের বিরোধ ছিল। ২০১৯ সালের রমজানে হাসানকে ছুরিকাঘাতে আহত করে গ্রেফতার হয় শাহ আলম। কারাগার থেকে বেরিয়ে শাহ আলম হাসানকে আবারও মারার পরিকল্পনা করে। ঘটনার রাতে শাহ আলম দলবল নিয়ে বাকলিয়ার বজ্রঘোনা এলাকায় হাসানকে মারতে গেলে বুবলীর ভাই রুবেল বাধা দেয়। এসময় রুবেলের তথ্যে হাসান পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় শাহ আলম। পরে রাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহ আলম ও তার সহযোগীরা যায় রুবেলকে মারতে। বাসায় ঢুকে তাকে না পেয়ে বোন বুবলীকে গুলি করে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।
এই ঘটনায় বুবলির বাবা নোয়া মিয়ার দায়ের করা মামলায় শাহ আলম (পরে মৃত), তার ভাই নূর আলম (২৫), নবী হোসেন (৬০), মো. জাবেদ (২৪), মো. মুছা (৪০) ও আহমদ কবিরের (৪২) নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে নূর আলম ও তাদের সহযোগী নবী হোসেন, আহমদ কবির ও মুছাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।