নির্বাচনের পথ সুগম করতে খালেদাকে মুক্তি দিন
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৬:২০
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করতে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বীর বিক্রম।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্রদল এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
অলি আহমেদ বলেন, ‘বাড়াবাড়ি না করে নির্বাচনের পথ সুগম করার জন্য, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করার জন্য, প্রয়োজন হলো সকলের অংশগ্রহণ, সেখানে বেগম জিয়াকে অবশ্যই মাঠে রাখতে হবে।’
‘আপনারা অনেক জায়গায় বড় বড় জনসভা করছেন। আমরা যখন ছোট ছোট সভা করতে যাই, তখন করতে দেওয়া হয় না, আমাদেরকে রাস্তায় নামতে দিচ্ছেন না, আমরা যখন অবস্থান ধর্মঘট করতে চাই, আপনারা আমাদেরকে দাঁড়াতে দিচ্ছেন না— একদলীয় শাসন কায়েম করে নিয়েছেন? বঙ্গবন্ধু তো আইন করে করেছিলেন এক দলীয় শাসন! আপনারা কোনো কিছু না করেই এক দলীয় শাসন কায়েম করেছেন?’— বলেন অলি।
তিনি বলেন, ‘নাজিমউদ্দিন রোডের জেলখানা অনেক আগেই প্রস্তুত করা হয়েছিল। ১১ পাতার রায় ১০ দিনে লেখা সম্ভব ছিল না। সব কিছুই করা হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক। আইনে আছে ৫ দিনের মধ্যে রায়ের কপি দিতে হবে। এখানে ১২ দিন সময় লাগল! কম্পিউটারের মধ্যে সব আছে। প্রথম কপি যখন বের করা হয় রায় দেওয়ার জন্য, এর সাথে তো আরেকটি কপি বের করা যেত।’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো দুর্নীতির প্রশ্ন আসেনি। এখানে টাকা আত্মসাতের কোনো প্রশ্ন ওঠে নাই। এখানে পদ্ধতিগতভাবে কিছু ভুল হতে পারে। সেটার জন্য কোনো ব্যবস্থা আছে কি না আমি জানি না। তবে যেভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে— এটা অন্যায়। খালেদা জিয়াকে যেভাবে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে— এটাও অন্যায়। তাকে ডিভিশন দেওয়া হয় নাই— এটাও অন্যায়। সঠিক সময় রায়ের কপি প্রদান করা হয় নাই— এটাও অন্যায়।’
অলি বলেন, ‘অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় জনগণ বসে থাকবে না। সরকারে হাতে গোয়েন্দা রিপোর্ট নিশ্চয়ই আছে। সরকার জানে, এদেশের ৭৫ ভাগ লোক জাতীয়তাবাদী শুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের শাস্তি কেউ মেনে নিতে পারেনি। দলমত নির্বিশেষে সব মানুষ এই রায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আব্দুল্লাহ, আবদুল গণি, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
সারাবাংরা/এজেড/একে